জুমবাংলা ডেস্ক : মাত্র ৬ মাসে একটি জার্মান শেফার্ড (মায়া কুকুর) জাতের কুকুর লালন-পালন করে লাখোপতি হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আমভিটা এলাকার সঞ্জিত মণ্ডল সরু। সরু’র সাবেক কর্মসংস্থানের মালিক সাদিকুর রহমান গালিবের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী একটি শেফার্ড উপহার দেন তাকে।
কুকুরটি মাত্র ৬ মাসে ৪টি বাচ্চা দেয়। এক একটি কুকুরের বাচ্চা ২৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে লাখোপতি বনে যান তিনি। সেই থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সরু মণ্ডলের।
এরপর ছোট আকারে বাণিজ্যিকভাবে কুকুরের খামার গড়ে তোলেন তিনি। ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে বড় আকারে খামার গড়ে তুলতে পারছেন না বলে জানান এই পশুপ্রেমিক সরু মণ্ডল।
সরু মণ্ডল বলেন, কুকুর পালন করে সফল হওয়া সাদিকুর রহমান গালিবের কুকুরের খামারে ১২ বছর ধরে কাজ করতাম আমি। সেখান থেকে কুকুর পালনের অভিজ্ঞতা অর্জন করি। করোনায় গালিব মারা যাওয়ার পর তার ওখান থেকে শেফার্ড জাতের কুকুরটি আমি নিয়ে আসি। কুকুরটি আমাকে খুব পছন্দ করতো। সব সময় আমার কথা শুনে চলতো। পরে কুকুরটির ৪টা বাচ্চা হয়। যার প্রতিটি বাচ্চা ২৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করি।
তিনি আরও বলেন, আমি আরও ২টি কুকুর কিনি। এখন আমার খামারে দুই ধরনের কুকুর আছে। জাপানি স্পিটজ ও জার্মান শেফার্ড। যদি কারও কুকুরের বাচ্চা লাগে তাহলে আমি দিতে পারবো। জাপানি স্পিটজের বাচ্চা ১২-১৩ হাজার টাকা করে বিক্রি হয়। যারা বাড়ি পাহারা দিতে চান তারা জার্মান শেফার্ড নিতে পারবেন। সেনাবাহিনীতে ব্যবহার করা হয় এই কুকুর।
কারা কুকুর কিনতে আসেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক নিরাপত্তার জন্য মানুষ এই খামার থেকে কুকুর কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার ১২ নম্বর রংপুর ইউনিয়নের ৮ নস্বর ইউপি সদস্য বিপুল মহলদার বলেন, পশুপ্রেমিক সরু মণ্ডল বিদেশি কুকুর পালন করে অল্পদিনে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এলাকায় তার কুকুরের খামার সাড়া ফেলে দিয়েছে। অনেকেই আসেন কুকুর দেখতে। আবার কেউ আসেন কিনতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।