স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় নেই ফ্যাফ ডু প্লেসি! অথচ তিনি ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত। এ জন্য প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ কার্যত তোপ দেগেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দিকেই।
দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে বাদ দিয়েই কেন বিশ্বকাপের পরিকল্পনা? ডু প্লেসির না কি দেশের হয়ে খেলায় আগ্রহ নেই। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেননি ডু প্লেসি। তিনি বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতেই আগ্রহী। ডু প্লেসির এই মানসিকতায় বিরক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট কর্তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম শীর্ষকর্তা স্মিথ। বিশ্বকাপ খেলতে ডু প্লেসিকে রাজি করানো কঠিন হলেও স্মিথ আশা ছাড়ছেন না। তিনি চান দেশের হয়ে খেলুন ডু প্লেসি। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে এ বছরেই নেতৃত্ব দিয়েছেন ডু প্লেসি। স্মিথ বলেছেন, ‘‘ডু প্লেসি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার মতো যথেষ্ট ফিট এবং যোগ্য। আমার তো সন্দেহ নেই। নেতৃত্বও দিতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল, দল কি ওকে চাইছে?’’
ডু প্লেসি এখন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার নন। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেশের হয়ে খেলেননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ডু প্লেসি। সরকারি ভাবে অবসর না নিলেও ঘনিষ্ঠ মহলে এক দিনের ক্রিকেট নিয়েও অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ বারের আইপিএলে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক করেছেন ৪৬৮ রান। ছন্দে থাকা এমন অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ছাড়াই কেন বিশ্বকাপ খেলার কথা ভাবছে দক্ষিণ আফ্রিকা? স্মিথ বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা একটা সমীকরণ তৈরি করেছে। সম্ভাব্য সেরা একাদশ নিয়ে পরিকল্পনা করছে। ডু প্লেসি যথেষ্ট ফিট। টেস্ট ক্রিকেটও খেলে না। কিন্তু ওকে ফাঁকা পাওয়াটাই চ্যালেঞ্জ।’’ কারণ হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ডিরেক্টর অব ক্রিকেট বলেছেন, ‘‘এখনকার ক্রিকেটাররা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লিগ খেলতে ব্যস্ত থাকে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য দেশকে কতটা সময় দিতে পারবে জানি না। বিশ্বকাপের দলে ওকে রাখা যেতেই পারে। কিন্তু দলের সংস্কৃতি, প্রস্তুতি এ সবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয় থাকে। সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরির ব্যাপার থাকে। ভারতকে এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় না। কিন্তু অন্য দেশগুলোর জন্য বিষয়টা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’’
ডু প্লেসির ক্রিকেটীয় দক্ষতা এবং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই স্মিথের। তিনি বলেছেন, ‘‘দলের সঙ্গে ওকে কতটা সময় থাকতে হবে, সেটা দলই ঠিক করতে পারে। হতে পারে ও লিগ খেলেই খুশি। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর নেওয়ার কথা ভাবছে।’’
কেন এমন সমস্যা হচ্ছে দেশের সেরা ক্রিকেটারদের প্রয়োজনের সময় পেতে? স্মিথ কার্যত আঙুল তুলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, বিসিসিআইয়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁরা। স্মিথের বক্তব্য, ভারতের ব্যাপার আলাদা। ওরা নিজেদের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বিদেশের লিগে খেলার অনুমতি দেয় না। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা আইপিএল-সহ সারা বিশ্বে খেলে। ডু প্লেসি আইপিএল, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও বেশ কিছু টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে। যখন থেকে ডু প্লেসি এই লিগগুলো খেলতে শুরু করেছে, তখন থেকেই জাতীয় দল নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছে।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালই খেলেছে প্রোটিয়ারা। কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী বিশ্বকাপেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেবেন বাভুমাই।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
কাতার বিশ্বকাপে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড অবৈধ, ধরা পড়লেই ৭ বছরের জেল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।