জুমবাংলা ডেস্ক : পুরো রাজধানীই এখন ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে। আর এডিস মশার বিস্তার ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হার বিবেচনায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থা মুগদা, মান্ডা, যাত্রাবাড়ী, দোলাইপাড় ও দনিয়া। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার জানান, পুরো রাজধানীই এখন ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই ভয়াবহতা ঠেকাতে হটস্পট ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সাধারণ ওয়ার্ডের বাইরে সিঁড়ির পাশে সারি সারি শয্যায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের। রাজধানী মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এ চিত্রই বলে দিচ্ছে, পরিস্থিতি কতটা নাজুক এসব এলাকাবাসীদের। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২ হাজার ২০০’র বেশি ডেঙ্গু রোগী। সম্প্রতি মুগদা, মান্ডা, যাত্রাবাড়ী, দোলাইপাড় ও দনিয়াতে সরেজমিনের গিয়ে সময় সংবাদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এডিস মশার বিস্তার ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হারের সংখ্যা।
এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ঢাকার কমবেশি সব এলাকা থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে আক্রান্তরা। এবারও ভয়াবহতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আক্রান্ত ও মৃত্যু দুই সূচকে এখানকার অবস্থা বেশ নাজুক। পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি আর চট্টগ্রাম বিভাগের চিত্রও খারাপ। ঢাকার প্রায় সব এলাকা থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে আক্রান্তরা।
পরিস্থিতির অবনতি হলেও এবারের ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় বড় দুর্বলতা হচ্ছে, প্রতিবার বর্ষা মৌসুমে এডিসের জরিপ করলেও এবার তা করেনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। এমনকি বর্ষা-পূর্ব জরিপেরও তেমন ইঙ্গিত মিলছে না। যা রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মোশতাক হোসেন।
তবে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জরিপে যে চিত্র মিলছে, তা বেশ উদ্বেগজনক। জরিপ অনুযায়ী, ঢাকার প্রায় সব এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব বা ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। যার অর্থ দাঁড়ায়, পুরো রাজধানীই এখন ঝুকিঁপূর্ণ। এমনকি উত্তরা, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানীর মতো অভিজাত এলাকায়ও ব্রুটো ইনডেক্সের মাত্রা ৫০ এর বেশি। আর ডেঙ্গুর ঘনত্ব ও রোগীর হার বিবেচনায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মুগদা, মান্ডা, যাত্রাবাড়ি, দোলাইপাড়, দনিয়া এলাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।