জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা মহামারির মধ্যে দেশে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রভাব। সময়টা বর্ষাকাল, এ সময়ে ডেঙ্গুর সঙ্গে বাড়ে চিকুনগুনিয়া রোগের প্রকোপ। আর তাই এই সময়টাতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। আর এই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ থেকে বাঁচতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (২ আগস্ট) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত জ্বর। এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। সাধারণ চিকিৎসাতেই এ রোগ দুটি সেরে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে পরামর্শগুলো দিয়েছে সেগুলো হলো-
১. ঘরে এবং আশপাশে যেকোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিনদিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে।
২. ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
৩. মনে রাখতে হবে ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে।
৪. পানি যাতে না জমে সেজন্য অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস করতে হবে অথবা উল্টে রাখতে হবে।
৫. দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
৬. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
এদিকে, সোমবার (২ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৭৯ জনই রাজধানীর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৯৭৮ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৪০ ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২০০ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু সন্দেহে ৪টি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেলেও এখনও কোনো মৃত্যুই ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেনি আইইডিসিআর।
ডেঙ্গু প্রকোপের এ সময়ে বাসাবাড়িতে অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রে পানি জমতে না দেওয়াসহ দিনে ও রাতে মশারি টানানোর পরামর্শ বিশেজ্ঞদের।
প্রতিবছর বর্ষাকালেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল।
দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।