নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গুর বিস্তার এখন সারা দেশে। আট বিভাগের ৬৪ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেঙ্গুতে ক্রমাগত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং সারাদেশে তা ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের মনে আতঙ্কও বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার নতুন করে এক হাজার ৬৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯৯৬জন রাজধানী ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন।
স্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের চিকিৎসক বোরহান জানান, কোনো সন্দেহ ছাড়াই এখন আমরা বলতে পারি দেশের ৬৪ জেলায় ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে।
চলতি বছর এ পর্যন্ত সারাদেশে ২১ হাজার ২৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৫। এ ছাড়া সারাদেশে আরও ৪ হাজার ১৯০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। রাজধানীর ৪৯টি সরকারি-বেসরকারি ও ঢাকার বাইরে শুধু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আক্রান্তের এই সংখ্যা নিরূপণ করছে। এর বাইরে কয়েক হাজার বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে যেসব মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে, তারা হিসাবের আওতায় আসছে না। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, সরকারি হিসাবে এক-দশমাংশ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে মাত্র। ৯০ শতাংশ রোগী হিসাবেই আসছে না।
শুক্রবারও সারাদেশে ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মৃত্যের সংখ্যা ৬১ জনে দাঁড়াল।
বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মালিহা মাহফুজা নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। মালিহা উত্তরায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাইয়ান সরকার নামে স্কুলছাত্রেরও মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে তার মৃত্যু হয়।
রাইয়ান মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ৩১ জুলাই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রায়হানকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
এ ছাড়া শুক্রবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে আনোয়ার হোসেন ও মিনার নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। নোয়াখালীতে মোশাররফ হোসেন ও আবদুল মোতালেব নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।