বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ইন্টারনেট এখন মানুষের নিয়ন্ত্রণে নেই। ডেড ইন্টারনেট থিওরি অনুযায়ী, বেশিরভাগ অনলাইন কনটেন্ট তৈরি করছে বট এবং এআই। এই তত্ত্বটি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।
এটি ইন্টারনেটের ভবিষ্যত নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্বস্ত সূত্র যেমন Reuters এবং Bloomberg এই বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। অনলাইন জগতের পরিবর্তন নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক।
ডেড ইন্টারনেট থিওরির মূল বিষয়গুলো
তত্ত্বটি দাবি করে, ৯০% অনলাইন কনটেন্ট এখন বট দ্বারা তৈরি। মানুষের যোগাযোগের স্থান দখল করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সামাজিক মাধ্যমের ফিডগুলোতে প্রকৃত মানুষের উপস্থিতি কমছে।
এপি’র এক প্রতিবেদনে এই প্রবণতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু conspiracy theory নয়। বরং একটি বাস্তব সমস্যা যা আমাদের ডিজিটাল জীবনকে প্রভাবিত করছে।
কেন এই তত্ত্বটি এত আলোচিত?
ব্যবহারকারীরা তাদের অভিজ্ঞতায় পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন। ফেসবুক কমেন্ট এবং রেডিট পোস্টে বটের Aktivität বেড়েছে। ইউটিউবেও AI জেনারেটেড কনটেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মনস্তত্ত্ববিদরা বলছেন, পুরনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা পরিবর্তন টের পাচ্ছেন। আগের মতো অর্গানিক ইন্টারেকশন এখন আর তেমন দেখা যায় না। এটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে।
বট এবং এআই এর প্রভাব
গবেষণায় দেখা গেছে, এক্স-এ ২০% অ্যাকাউন্ট বট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনটেন্ট শেয়ার করা হয়। এফপি’র তথ্যমতে, এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
কোম্পানিগুলো মার্কেটিং এর জন্য বট ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক প্রচারণায়ও এই প্রযুক্তি কাজে লাগছে। ফলে প্রকৃত ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর ডুবে যাচ্ছে।
কীভাবে চিনবেন বট অ্যাকাউন্ট?
বট অ্যাকাউন্টগুলো সাধারণত নির্দিষ্ট প্যাটার্ন ফলো করে। তাদের পোস্টে প্রকৃত ইন্টারেকশন কম থাকে। প্রোফাইল তথ্যও অসম্পূর্ণ থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
নতুন পোস্টের কমেন্ট সেকশনে স্প্যাম লিংক দেখলে সতর্ক হোন। একই কনটেন্ট বারবার শেয়ার করাও বটের লক্ষণ। এসব অ্যাকাউন্ট রিপোর্ট করতে ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
ডেড ইন্টারনেট থিওরি আমাদের ডিজিটাল ভবিষ্যত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। অনলাইন বিশ্বে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় সচেতনতা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
জেনে রাখুন-
ডেড ইন্টারনেট থিওরি কি সত্যি?
এটি একটি তত্ত্ব, তবে বট এবং এআই’র প্রভাব বাস্তব। বিশেষজ্ঞরা এই প্রবণতা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন।
ইন্টারনেট কি সত্যিই মৃত?
ইন্টারনেট মৃত নয়, তবে এর চরিত্র বদলেছে। মানুষের পাশাপাশি বট এবং এআই এখন সক্রিয়।
বট চেনার উপায় কী?
স্বয়ংক্রিয় পোস্ট, অসম্পূর্ণ প্রোফাইল এবং স্প্যাম লিংক বটের প্রধান লক্ষণ। এসব অ্যাকাউন্ট এড়িয়ে চলুন।
এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়?
সচেতনতা এবং রিপোর্টিং বট নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। প্ল্যাটফর্মগুলোও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
ডেড ইন্টারনেট থিওরির ভবিষ্যত কী?
এআই প্রযুক্তির উন্নতির সাথে এই তত্ত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হবে। নতুন নীতিমালা এবং প্রযুক্তি প্রয়োজন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।