আর তারপর যা ঘটল, তা এককথায় মুখের ওপর উচিত জবাব। ভেদাভেদই যে দেশে মুখ্য, সেই দেশে শুধুমাত্র ডেলিভারি বয় মুসলিম হওয়ার কারণে খাবারের অর্ডার বাতিল করে দিয়ে অমিত শুক্ল ট্যুইটারে গর্বের সঙ্গে লিখলেন। লিখলেন, ‘জোমাটোয় দেওয়া খাবারের অর্ডার বাতিল করে দিলাম। ওরা একজন অ-হিন্দু রাইডারকে পাঠাচ্ছিল। শুধু তাই নয়, ওরা রাইডার বদল করবে না বলে জানিয়েছিল। পাশাপাশি, অর্ডার বাতিলের জন্য কোনও টাকা ফেরত দেবে না বলে জানিয়েছে জোমাটো।’
জোমাটোর কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে কী কী কথা বলেছেন তারও উল্লেখ করেছেন অমিত। কাস্টমার কেয়ার থেকে বলা হয়, ‘‘ফৈয়াজ আপনার অর্ডার নিয়ে বেরিয়েছে। ওকে যে কোনও সময় ফোন করতে পারেন। অমিত তখন জানান, ‘এখানেই আমার আপত্তি। আপনারা কি রাইডার বদল করতে পারেন?’ জোমাটোর তরফে সেই প্রস্তাব নাকচ করে বলা হয়, ‘খাবারের কোনও ধর্ম হয় না, খাবার নিজেই তো একটা ধর্ম!’
চুপ থাকেননি জোমাটোর কর্ণধার দিপিন্দার গোয়েলও। ট্যুইটারে তিনি পাল্টা লেখেন, ‘ভারতের গ্রাহকদের বৈচিত্র নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধে আঘাত করে এমন ব্যবসা হারাতে হলেও আমাদের কোনও দুঃখ নেই।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ঘটনাটি শোরগোল ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জোমাটোর প্রশংসা করেছেন অনেকেই। সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন অমিতও। কিন্তু যে প্রশ্নটা অলক্ষ্যে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে, তা হল, যে দেশে এখনও অধিকাংশ মানুষের পেটে খাবার জোটে না, সেদেশে খাবারের ডেলিভারি বয়ের আবার ধর্ম! অ্যাপ-অভ্যস্ত ‘আধুনিক’ সমাজেও কি ঢুকে বসে নেই জাত-পাত বিচার করে মানুষকে মানুষ ভাবার সেই মধ্যযুগীয় প্রথা? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।