জুমবাংলা ডেস্ক: ‘আইডেন্টিটি, কালচার অ্যান্ড এজেন্ডা ড্রাইভেন নিউজকাস্ট’- এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘আইক্যান সিক্স’।
শনিবার (৫ আগস্ট) ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়।
দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর মিডিয়া কমিউনিকেশন রিসার্চ (আইএএমসিআর) ও দিল্লি মেট্রোপলিটন মিডিয়া স্কুলের সহযোগিতায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিভাগ এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস সম্মেলনটি আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডক্টর এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল ডাইভারসিটির ব্যাপারে অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। আমরা এই ধরনের আন্তর্জাতিক কার্যক্রম সবসময় স্বাগত জানাই ।
আরও বক্তব্য রাখেন মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান আফতাব হোসেন, ডক্টর কাবিল খান এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর গোলাম রহমান।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘আইক্যান’ এর অন্যতম প্রধান ব্যক্তি দিল্লি মেট্রোপলিটন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. অম্বোরীশ সাক্সেনা।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো গণমাধ্যমের গবেষণাকে আরো বহুমাত্রিক ধারায় রূপান্তর করা। আমরা এটিকে মুভমেন্ট হিসেবে ছড়িয়ে দিতে চাই ।
এছাড়া ভারতের অন্যতম বৃহৎ মিডিয়া স্কুল মাখনলাল চতুর্বেদী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জেএমসির ভাইস চ্যান্সেলর ড. কুমার গোবিন্দ সুরেশ বলেন, বিগত কয়েক দশক ধরে আমরা লক্ষ্য করছি, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিষয়ক কোন গবেষণা হলেই আমাদের পশ্চিমের রেফারেন্স আনতে হয়। কিন্তু এখন সময় হয়েছে আমাদের নিজেদের যোগাযোগ ও মিডিয়া আইডেন্টিটি তৈরি করা। আমাদের নিজস্ব পয়েন্ট অফ ভিউতে আমরা মিডিয়াকে দেখতে চাই ।
‘কালচার আইডেন্টিটি: গ্লোবাল মিথ ভার্সেস রিয়ালিটি’ শীর্ষক পরবর্তী একাডেমিক সেশনে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা প্রফেসর উজ্জ্বল কে চৌধুরী । এরপর টেকনিক্যাল সেশনে ভারত ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের একাডেমিক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ।
সম্মেলনের প্রথম দিনে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ফরিদাবাদ এমআরআইআইআরএস-এর অধ্যাপক এবং মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের ডিন ড. মৈথিলি গাঞ্জু, দিল্লি মেট্রোপলিটন এডুকেশনের মিডিয়া স্কুলের অধ্যাপক ড. অম্বরীশ সাক্সেনা, ড. সুস্মিতা বালা ও আশিস চ্যাটার্জি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।