সম্প্রতি জুমবাংলা কর্তৃক পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে যে, অংশগ্রহণকারীদের ৮৫% (৫,২২০ ভোট) ড. ইউনুসকে বাংলাদেশের সরকার প্রধান বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে সমর্থন করেছেন, যেখানে মাত্র ১৫% (৮৬৯ ভোট) বিরোধিতা করেছেন। এই বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা ড. ইউনুসের জনপ্রিয়তা এবং সক্ষমতাকে নির্দেশ করে, যা তাকে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং সম্ভবত একমাত্র কার্যকর বিকল্প হিসেবে স্থাপন করে।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি “ড. ইউনিভার্স” নামে পরিচিত, মাইক্রোক্রেডিট এবং সামাজিক ব্যবসায় তার যুগান্তকারী কাজের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তার উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান, বৈশ্বিক স্বীকৃতি এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করেছে। দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নে ড. ইউনুসের উত্তরাধিকার বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা হিসেবে অব্যাহত রয়েছে।
পোলটি ফেসবুকে দেখুন-
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কারা থাকছেন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তিন বাহিনীর প্রধান অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে সম্মান জানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বঙ্গভবনে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ১৩ জন সমন্বয়ক, তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান স্যারদের নিয়ে একসঙ্গে বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেছি। এতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। অভ্যুত্থানকারী জনতার পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব করা হবে সেটিই হবে চূড়ান্ত অন্তবর্তীকালীন সরকার, সে নিশ্চয়তা আমরা বঙ্গভবন থেকে পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য, নোবেল বিজয়ী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতিও বিষয়টি সাদরে গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে আমরা এই সরকারের প্রাথমিক একটি তালিকাও দিয়ে এসেছি। সেখানে নাগরিক সমাজসহ ছাত্র প্রতিনিধিদের নাম রয়েছে। এই তালিকাটি বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
তিন বাহিনীর প্রধান ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে এই সমন্বয়ক বলেন, আমাদের অবশ্যই সরকারি সম্পদ ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় তিনি লুটপাট ও নাশকতা রোধে জনতাকে দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক এবং ১৩ জন সমন্বয়ক অংশ নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।