জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর ৩০০ কিলোমিটার খালের ১২০ কিলোমিটার দখল হয়েছে। এসব জায়গায় নির্মাণ হয়েছে বহুতল ভবনও। দখলের কারণে কোনো কোনো খাল হয়েছে সরু নালার মতো। এসব খাল উদ্ধারে গঠিত কমিটি এরই মধ্যে কাজও শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে খালের জায়গা চিহ্নিত করতে হবে তারপর উচ্ছেদ অভিযান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অটোরিকশার গ্যারেজ ও বহুতল ভবন। আগে ছিল আওয়ামী লীগ অফিস এখন বিএনপির।
খাল দখলকারীরা বলছেন, যেখানে অন্য বড় সব জায়গায় দখল করে বড় বড় ভবন উঠে যাচ্ছে, এখানে ছোট ছোট দখল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যত দূর চোখ যায় এ খালে শুধুই দখলের থাবা। কোথাও কোথাও ভবন নির্মাণ করায় খাল হয়েছে নালা।
এলাকাবাসী বলছেন, যে যখন জোর খাটিয়ে খাল দখল করতে পারছে, সে তখন করছে। কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপি আবার কখনও জামায়াতে ইসলামী দল।
ঢাকা মহানগরীর ৭৫টি খালের বেশিরভাগই দখল হয়েছে। গবেষণা সংস্থা আরডিআরসির হিসাবে, ৩০০ কিলোমিটার খালের ১২০ কিলোমিটারই বেদখল।
বিশেষজ্ঞের অভিযোগ, সব হাউজিং প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালীরা খাল দখল করেছে।
আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, রাষ্ট্রীয় যে হাউজিং কোম্পানিগুলো ছিল গণপূর্তের বা রাজউকের তারা করেছে এক ধরনের দখল। এগুলো দেখে উৎসাহিত হয়ে প্রাইভেট সেক্টরে যে হাউজিং কোম্পানিগুলো আছে ইনক্লুডিং বসুন্ধরা, আফতাবনগর, বনশ্রী, মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং খাল দখল করে কোম্পানি গড়ে তুলেছে।
দখল ও দূষণমুক্ত খালকেন্দ্রিক ব্লু নেটওয়ার্ক গড়তে কমিটি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।
ব্লু নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘খাল দখল করে যেসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলো তো উচ্ছেদ করতেই হবে। তবে তা হবে আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হবে। সবকিছুই পরিকল্পনামাফিক এগোবে।’
১৫টি খাল খনন করলেই ঢাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।