আসিফ হাসান কাজল : মো. আরিফ হোসাইন (২৫)। বাসা রাজধানীর ধানমণ্ডির জিগাতলা কাঁচাবাজার। পড়াশোনা করছেন ধানমণ্ডি শংকরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিদিন রিকশাযোগে বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন।
আরিফ বলেন, ধানমণ্ডি থেকে শংকর যাতায়াতে তার খরচ হয় ১০০ টাকা। অর্থাৎ এক কিমির একটু বেশি যেতে রিকশা ভাড়া গুণতে হচ্ছে ৫০ টাকা।
রাজধানী থেকে কক্সবাজারের আকাশপথে দূরত্ব ৩৮৫ কিমি। গত দুই বছর রোহিঙ্গা শিবিরে কক্সবাজারে ইন্টার্ন নিউজের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন হাসান জেমস। পেশাগত কারণে মাসে দুএকবার তাকে ঢাকায় আসতে হয়।
হাসান বলেন, গত দুই বছরে একাধিকবার প্লেনে যাতায়াতে প্রতি ট্রিপে খরচ হয়েছে ২-৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্লেনে প্রতি কিমি পাড়ি দিতে খরচ হয় ৫ টাকার একটু বেশি।
আকাশপথে যাতায়াতে খরচ বেশি লাগে- সবার এ ধারণা থাকলেও ঢাকা শহরের রিকশায় চড়তেই খরচ হয় বেশি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীতে রিকশায় চলতে যে খরচ হয়, তা প্লেনের চেয়ে আটগুণেরও বেশি। যাত্রীরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের কোনো ভাড়ার তালিকা না থাকা ও রিকশাচালকদের দৌরাত্ম্যই এর জন্য দায়ী।
স্কয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড সূত্র জানায়, দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা, নভো এয়ারসহ কয়েকটি কোম্পানির উড়োজাহাজ চলাচল করে। শুধু অভ্যন্তরীণ রুটেই নয়, বিদেশে যেতেও প্লেনের ভাড়া ট্রানজিট ও রিটার্ন টিকিটের উপর নির্ভর করলেও কিমিপ্রতি ১০ টাকার আশেপাশেই থাকে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে বাড়তে পারে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে পেট্রোল ইঞ্জিনে চালালে প্রতি কিমি ১৩ টাকা ও সিএনজিতে চালালে এর অর্ধেক খরচ হয় বলে জানান ব্যাবহারকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাইড শেয়ারিং উবার, পাঠাও, ওবাই প্রাইভেটকারে এই খরচ কিমিপ্রতি ২০ টাকারও কম।
বাংলাদেশ রিকশা-ভ্যান মালিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আর এ জামান বলেন, ঢাকায় এতো দিনেও সিটি করপোরেশন কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, রাজধানীতে ৮৭ হাজার রিকশার লাইসেন্স রয়েছে। অথচ এর ১০ গুণ রিকশা চলাচল করছে। রিকশায় যাত্রী পরিবহনে তাই দূরত্ব বিবেচনায় ভাড়া নির্ধারণ সম্ভব নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।