জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ব্যয় বাড়ছে। নকশায় পরিবর্তন, পানি-বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন স্থানান্তরের কারণে এই খরচ বাড়ছে বলে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম। এসব কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রাজধানী ঢাকা শহরের যানজট কমাতে এবং ব্যস্ত এই মহানগরীকে এড়িয়ে নির্বিঘ্নে গাড়ির চলাচল নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এটি বিমানবন্দরকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল এবং ঢাকা ইপিজেড’র সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
বিমানবন্দরের কাছে এটি ঢাকার প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে মিলিত হবে। উড়াল সড়কটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট হারে টোল দিতে হবে প্রতিটি যানবাহনকে। বছর খানেক আগে ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মান কাজ তিনটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ইউটিলিটি রিলোকেশন, বিমানবন্দর এলাকায় কাজ করার জন্য সাইট না পাওয়া এবং প্রকল্পের ডিজাইন পরিবর্তন। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু জায়গায় নতুন করে ভায়াডাক্ট প্রশস্থ করতে হচ্ছে।
আবার তিনটি ব্রিজের উচ্চতা বাড়াতে হচ্ছে। এসব কাজে নতুন করে প্রকল্পের খরচ বাড়ছে। তবে খরচের পরিমাণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এসব চ্যালেঞ্জের কারণে কি প্রকল্প শেষ হবে দেরি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলছেন, খরচ বাড়লেও অর্থ সংস্থানের কোন সমস্যা নেই। নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ হবে।
বর্তমানে ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে। মোট এক হাজার ৯৬০টি পিলারের মধ্যে এক হাজার ২০০টি পিলার দাঁড়িয়ে গেছে। ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদকাল থাকলেও এর সার্বিক অগ্রগতি মাত্র ৫০ শতাংশ। আছে মাত্র ১৬ মাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।