১. সোমবার সংঘটিত ঘটনা পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এখনই ভাবতে হবে। কালবিলম্ব না করে এখনই সদ্য বিদায়ী কমিটির বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া এবং বাদ পড়া রাজনীতিতে সক্রিয় নেতৃবৃন্দকে যত দ্রুত সম্ভব যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিসহ অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় তার দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
বিগত কয়েকটা কমিটির অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে সদ্য বিদায়ী কমিটির কাছ থেকেই নতুন কমিটি একাধারে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা ও অসহযোগিতা পেয়ে আসছে। যেহেতু শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে তাই এখন সহযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাছাড়া ক্যাম্পাস রাজনীতিতে টিকে থাকতে মূল দলের সহযোগিতা ও নিজেদের উপস্থিতির পাশাপাশি সব পক্ষকে আস্থায় নেয়া, সাদা দলের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ-জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং দলের শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সঙ্গত কারণেই এসব পক্ষের সাথে বিগত কমিটির নেতৃবৃন্দেরই যোগাযোগ বেশি। তাই আমি মনে করি এসব সদ্য সাবেক নেতৃবৃন্দের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারলে ছাত্রদলের প্রত্যাশিত পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে যাবে। বিষয়টা নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট হলেও বাস্তবতা থাকায় তাই বললাম।
২. কাউন্সিলের শর্তানুযায়ী ১০% ভোট না পেলে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবি না পাওয়ার যে বিধান রাখা ছিল তা পুনর্বিবেচনা করা। যদিও নতুন করে সমস্যা তৈরি করতে পারে মনে করে আমি নিজেই এ নিয়মের ব্যত্যয় হোক তা চাইনি। তবে সোমবার ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও তাদের উপস্থিতি দেখে মনে হলো ছাত্রদল করার তাদের যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তা থেকে তাদের বঞ্চিত করা ঠিক হবে না। যথাসময়ে কমিটি না করে এবং কোনোপ্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে দল আমাদের প্রতি যে অবিচার করেছে, সেই একইরকম কষ্ট আমাদের ছোট ভাইরা বহন করুক তা অন্তত আমি চাই না। ছাত্রদল ভালো থাকুক। দল ভালো থাকুক।
লেখক: মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।