জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বুধবার শতবর্ষে পা রেখেছে। তবে করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে স্বল্পপরিসরে এ বিশেষ মুহূর্তটি উদযাপন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। খবর ইউএনবি’র।
করোনা মহামারিজনিত কারণে ঢাবি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সীমিত কর্মসূচি নিয়ে ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে।
শতবর্ষে পদার্পণ কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ১১টায় আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক অনলাইন আলোচনা শুরু হয়।
আলোচনা সভায় জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সংযুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. আ স ম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালে তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৬০ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র ও শিক্ষকরা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।