জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে প্রায় প্রতিদিন টাকা-পয়সা মোবাইল চুরির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ চুরির ঘটনা ঘটে ওয়ার্ডে থাকা ভর্তি রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডের এক রোগীর বিছানায় থাকা একটি স্মার্ট ফোন চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওয়ার্ডের লোকজন সুমন নামে এক যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তখন রোগীদের স্বজনরা সেখানেই সুমনকে গণপিটুনি দেন। পরে হাসপাতালের পুলিশ খবর পেয়ে সুমনকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
এক রোগীর স্বজন মো. দেলোয়ার জানান, তার রোগী ১৮৩ নাম্বার বেডে ভর্তি আছেন। বিছানায় একটি স্মার্ট ফোন রেখে কাজ করছিলাম হঠাৎ দেখি সুমন নামে যুবকটি মোবাইলটি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। পরে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। তারপর ওয়ার্ডের লোকজন তাকে মারধর করে।
একই ওয়ার্ডে থাকা শিশু রিয়া মনির বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, আজকে ধরা পড়া ওই যুবক গত পরশুদিন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে তার একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যান, তাকে দেখে চিনতে পেরেছি।
এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে কোনো না কোনো রোগীর মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ চুরির ঘটনা ঘটে ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীদের। এছাড়া হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা চুরি হয়ে যাচ্ছে এরকম অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আসন সংখ্যার চেয়ে তিনগুণ রোগী বেশি ভর্তি থাকে। আর এসব রোগীর চাইতেও বেশি থাকে ভিজিটর। দীর্ঘ বছর ধরে ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করেও চুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
এদিকে হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যদের প্রধান প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) উজ্জ্বল জানান, প্রতিদিন রাতে আনসারদের নিয়ে গঠিত একটি টিম হ্যান্ড মাইক এর মাধ্যমে রোগীদের ও স্বজনদের সতর্ক করে থাকেন যে, ‘অপরিচিত কারো সঙ্গে মিশবেন না। অপরিচিত কাউকে ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে দেবেন না। অহরহ রোগীদের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আপনারা সতর্ক থাকবেন। এসব বলে বলে সতর্ক করা হয়। গতকালকেও এক মোবাইল ফোন চোরকে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় সময় রোগীদের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প (ইনচার্জ) ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, দুই এক দিন পরপর হাসপাতাল থেকে রোগীদের টাকা-পয়সাও মোবাইল ফোন চুরি যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আবার সরাসরি শাহবাগ থানায় গিয়ে জিডিও করছে।
পার্কের আবাসিক রুমে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলেন পাঁচ জোড়া নারী-পুরুষ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।