জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেট নগরীর পাঠানটুলার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই তরুণের পাশে বসে থাকা এর তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ ওই তরুণীকে কিশোরের পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারের আগে ওই তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহীনি।
জানা যায়, ওই তরুণের নাম মিফতাহুর রহমান। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কদমতলি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
থানা–পুলিশ জানায়, তরুণের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার রাতে মেয়েটি তরুণের বাসায় ওঠে। রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তরুণটি। মেয়েটিও তখন তরুণের লাশের পাশে বসে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তার হাতে ব্লেডের ক্ষত পাওয়া গেছে।
তরুণের চাচা মুহিবুর রহমান জানান, তার ভাতিজা শুক্রবার বাসায় একা ছিলেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে তিনি বাসায় গিয়ে একটি কক্ষের মেঝেতে মিফতাহুর রহমানের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন পাশের কক্ষে ছিল মেয়েটি।
মেয়েটি তাকে বলেন, রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে পৃথক দুটি কক্ষে তারা ঘুমান। সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মিফতাহুরকে দেখে মেয়েটি তাঁকে মেঝেতে নামান। পরে সে নিজেও ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিঞা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মিফতাহুরের বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশকে দেওয়া মেয়েটির বক্তব্য যাচাই-বাছাই করা হবে। মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। আদালতের নির্দেশে মেয়েটিকে সেফ হোমে পাঠিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।