জুমবাংলা ডেস্ক: মসজিদে পড়ে আছে জায়নামাজ, টুপি, তছবি, চশমা। তবে নেই মানুষগুলো। গ্যাস লাইনে লিকেজ ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে নিভে গেলো অনেক তাজা প্রাণ। সেইসঙ্গে ধ্বংস হয়েছে পরিবার-স্বজনদের স্বপ্ন।
স্থানীয়রা নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গ্যাস লিকেজের বিষয়ে বারবার অভিযোগ করার দাবি করলেও, বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তবে তদন্তে কারো গাফিলতি বা অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত মসজিদের কোণায় কোণায় এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আগুনের তাণ্ডবের চিহ্ন। কতটা ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের সম্মুখীন হয়েছিলেন নামাজে থাকা মুসল্লিরা, বলে দিচ্ছে পুড়ে যাওয়া জায়নামাজ, ভাঙ্গা কাঁচ, মসজিদের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন আসবাব । তবে ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও পবিত্র কোরান আছে অক্ষত।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতের এশার ফরজ নামাজ শেষে সুন্নত ও নফল নামাজ পড়ার সময়টাতেই মসজিদের ভেতর বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতোমধ্যে হতাহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত। মৃত্যুর মিছিলও যুক্ত হচ্ছেন একের পর এক হতভাগা মুসল্লিরা।
এলাকার লোকজনের দাবি গ্যাস লাইনে ত্রুটির কথা জানানো হয়েছিলো কর্তৃপক্ষকে।
এলাকাবাসীদের একজন বলেন, ‘গ্যাস লাইন লিকেজেরে কথা জানানো হয়েছে অফিসকে। তারা ঠিক করতে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে।’
তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে কোনো অভিযোগ না পাওয়ার দাবি করেছেন তিতাসের এমডি।
তিনি আরো বলেন, তবে মসজিদ কমিটি থেকে লিকেজ সংস্কারের কোন অভিযোগ পায়নি তিতাস কর্তৃপক্ষ। তদন্তে কারো অবহেলা গাফিলতি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অনুসন্ধানে আসেন ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি। আশা করেন দ্রুতই ঘটনার কারণ জানাতে পারবেন তারা।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক বলেন, ‘এই বিস্ফোরণ এসি থেকে নয়। তখন বিদ্যৎই ছিল না। সুতরাং বিদ্যৎ না থাকলে বিস্ফোরণ সম্ভব ছিল না এসি থেকে। আমরা দ্রুত কারণ বের করার চেষ্টা করছি।’
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতদেহ আসার খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে পশ্চিম তল্লা এলাকায়। একের পর এক খাটিয়া নিয়ে আসা হয় তল্লা মাঠে। কালো পতাকা টাঙ্গানো হয় এলাকাজুড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।