
চীনা সরকার তাইওয়ান নিয়ে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের প্রতিবাদে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বেইজিং এই তথ্য জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সংসদে বলেন, “তাইওয়ানে সশস্ত্র হামলা হলে সমষ্টিগত আত্মরক্ষা নীতির আওতায় জাপান সেখানে সেনা পাঠাতে পারে। যদি তাইওয়ানে জাহাজ, সামরিক শক্তি বা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা জাপানের টিকে থাকার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবে।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সানয়ে ওয়েইডং বেইজিংয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত কেনজি কানাসুগিকে তলব করে তাকাইচির মন্তব্যের বিরুদ্ধে কঠোর আপত্তি জানিয়েছেন।
এ ঘটনা জাপান-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে এবং তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সামরিক ও কূটনৈতিক তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চীনের ঐক্য প্রক্রিয়ায় কেউ হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে চীন কঠোর জবাব দেবে। চীন বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিল, তারা তাকাইচির মন্তব্য কখনও সহ্য করবে না এবং জাপানকে অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়।
তবে তাকাইচি সোমবার সংসদে জানান, তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন না এবং এটি ‘টোকিওর পূর্বের অবস্থানের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ যদিও তিনি ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উদাহরণ না দেওয়ার কথা বলেন।
উল্লেখ্য, জাপানের ২০১৫ সালের নিরাপত্তা আইন নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সমষ্টিগত আত্মরক্ষা অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়, বিশেষত যখন জাপানের অস্তিত্ব ঝুঁকিতে পড়ে।
সূত্র: এএফপি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



