আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে পুনরায় একত্র করা হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই পুনরেকত্রীকরণ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তা না হলে তাইওয়ানের পরিণতি কী হবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে শিনপিং বলেছেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় চীনা জনগণের গৌরবময় ঐতিহ্য আছে।’ গত সপ্তাহে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনের দেড়শ সামরিক বিমানের অনুপ্রবেশের পর এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন জিনপিং।
চীন থেকে রাজতন্ত্র উৎখাতের ১১০ বছর পূর্তিতে শনিবার দেওয়া ভাষণে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও দেশটির প্রেসিডেন্ট জিনপিং তাইওয়ান ইস্যুতে এই বার্তা দিলেন। তবে এবারের বার্তা আগের চেয়ে কিছুটা সংযত বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জুলাইয়ে জিনপিং হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার কোনো ধরনের চেষ্টা করলে, তাদের হাত-পা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র দাবি করলেও চীন দ্বীপটিকে দেখে নিজেদের ‘বিচ্ছিন্ন প্রদেশ’ হিসেবে। এবার সুর একটু নরম হলেও পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি জিনপিং। তবে জিনপিংয়ের বক্তব্যের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্বশাসিত দ্বীপের ভবিষ্যৎ শুধু এর জনগণই নির্ধারণ করতে পারে।
জিনপিং তার বক্তব্যে বলেন, ‘মাতৃভূমির সঙ্গে (তাইওয়ানের) পুনরেকত্রীকরণে ইতিহাস অর্পিত যে কর্তব্য আছে, তা অবশ্যই শেষ করতে হবে এবং এটি হতেই হবে।’ জিনপিং চান, তাইওয়ান চীনের সঙ্গে হংকংয়ের মতো ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’- এই নীতির আওতায় শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণে রাজি হোক।
বিবিসি লিখেছে, তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা এখনও ১৯৯৬ সালের মতো পর্যায়ে পৌঁছায়নি। সেবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল চীন। তখন বেইজিংকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই অঞ্চলে রণতরী পাঠাতে হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।