স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যারিয়ারের শুরুতে দারুণ লুক নিয়ে এসেছিলেন শোয়েব আক্তার।
মাথায় বাবরি দোলানো ঝাঁকড়া চুল। শারীরিক গড়নও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশাল রানআপে বোলিং করতেন অনেক দ্রুত। শুরুর সময়ে গতি আর ভয়ংকর বাউন্স দিয়ে দ্রুত বিখ্যাত হয়েছিলেন পাকিস্তানের এ পেসার।
দিনকে দিন হয়েছেন আরও স্মার্ট, আরও পরিণত। কিন্তু তাকেই কিনা শুনতে হয়েছিল সি-গ্রেডের নায়ক! শোয়েব আক্তারকে এ কথা বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ম্যাথু হেডেন।
দীর্ঘদিন পর হেডেনের সঙ্গে নিজের বাকযুদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন পাকিস্তানের পেসার। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের সঙ্গে নিজের ইউটিউবে লাইভ আড্ডা দেন শোয়েব। সেখানে ২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ নিয়ে কথা হয় ফ্লিনটফের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন শোয়েব। আর শুরুতেই জানান তাকে কিভাবে স্লেজিং করেছিলেন হেডেন।
শোয়েব বলেন, ‘আমার ও হেডেনের ‘‘বাজে যুদ্ধ’’ হয়েছিল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে। বিশ্বকাপে আমার প্রথম ম্যাচ ছিল। আমি পুরোপুরি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। আমার মতো ম্যাথু হেডেনও নিয়ন্ত্রণ হারায়। ’
‘হেডেন আমার সম্পর্কে কিছুই জানত না। হুট করে ও আমায় সি-গ্রেডের নায়ক বলে। সাথে যোগ করে নিচু-মানের পেসার। আমিও চুপ থাকিনি। হেডেনকে সরাসরি বলি, আমি তোমাকে বিশ্বকাপে দেখে নেব…। দূর্ভাগ্যবশত আমরা ম্যাচটি হেরে গিয়েছিলাম। ’
‘ওখানেই বিষয়টি থেমে থাকেনি। পরদিন আমাদের সকালের নাশতার টেবিলে দেখা হল। ভাগ্যটা কেমন দেখুন, আমি এবং হেডেন সকালে একাকী নাশতার টেবিলে। সেখানেও শুরু হয়ে যায় আমাদের বাকযুদ্ধ। সেখানকার যুদ্ধটা আরও বাজে হয়েছিল। ভাগ্যভালো মুহূর্তেই সেখানে অন্যরা চলে আসে এবং আমাদের দুজনকে আলাদা করে ফেলে।’ – যোগ করেন শোয়েব।
শোয়েব জানান, বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে হেডেনকে পাঁচবার বাউন্সারে ভয় দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অসি ওপেনার এক মুহূর্তের জন্য নিজের মনোবল নষ্ট করেননি।
এরপর সেই যুদ্ধ গড়ায় টেস্ট ম্যাচেও। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও পার্থ টেস্টে হেডেন ও ল্যাঙ্গার মিলে শোয়েব আক্তারকে স্লেজিং করেন। দুই ওপেনারের স্লেজিংয়ে পথ হারান শোয়েব।
ডানহাতি পেসার বলেন, ‘মেলবোর্ন ও পার্থ টেস্টে দুজন আমাকে বেশ স্লেজিং করেছিল। বারবার বলছিল, আরও জোরে বোলিং করো, আরও জোরে করো। মাথা খারাপ করে আমি আরও জোরে বোলিং করি। কিন্তু তাতে হয় কি, আমি দ্রুত শক্তি হারাই। ফলে ধারাবাহিক আমার গতি কমে আসে। তবে শুরুর আক্রমণ যেভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিল তাতে অবাক হয়েছি। তারা দুজনই দারুণ ওপেনার ছিল।’ তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।