গোপাল হালদার, পটুয়াখালী : তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে পটুয়াখালীর মানুষ। ভৌগোলিকভাবে উষ্ণ এই জেলাতে দীর্ঘদিন ধরে নেই বৃষ্টিপাত। বাতাসেও যেন আগুনের ছটা ছড়িয়ে পড়েছে। ঠাঠা রোদে পুড়ছে বিভিন্ন উপজেলার মানুষ। গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। তাপদাহের কারণে মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এমন তাপদাহ থেকে মুক্তি ও রহমতের বৃষ্টির জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টায় একযোগে উপজেলার ৮টি স্থানে এ বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। উপজেলা সদরের কেরামতিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হয় প্রধান জামাত।
এই নামাজে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে প্রচণ্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে সৃষ্টিকর্তার কাছে এক পশলা বৃষ্টি প্রার্থনা করে অঝোরে কেঁদেছেন মুসল্লিরা। এ যেন উপায়ান্তহীন মানুষের সর্বশেষ প্রচেষ্টা। একটু বৃষ্টির আশায় অঝোরে কেঁদেছেন আল্লাহ তাআলার দরবারে।
মোনাজাতে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে তাপদাহ থেকে মুক্তির জন্য এভাবেই কেঁদে কেঁদে ফরিয়াদ জানান মুসুল্লিরা।
এসময় অতীতের ভুলত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ইমামের সঙ্গে অঝোরে কাঁদছিলেন মুসল্লিরা। এ নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন রাঙ্গাবালী থানা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
স্থানীয়রা বলেন, বর্তমান আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি পর্যন্ত বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। আজকে আমরা ভান্ডারিয়া মাদরাসার আহ্বানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহর দরবারে দোয়া করলাম যেন বৃষ্টি হয়।
এছাড়াও রহমতের বৃষ্টির জন্য উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গদিঘাট ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, মোল্লার বাজার জামে মসজিদ, খালগোড়া জামে মসজিদ, সামুদাফৎ, নেতা বাজার ও কাছিয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।