জুমবাংলা ডেস্ক : চৈত্রের দ্বিতীয়ার্ধ্বে এসে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমাসে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আভাসও রয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের।
এখন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ফেনী, নোয়াখালী, রাঙামাটি, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও দু’তিন দিন।
এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) এবং অন্য স্থানগুলোতে ১-২টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ সময়ে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে রোগের প্রাদুর্ভাব কমা নিয়ে এক ধরনের আলোচনা রয়েছে নানা মহলে।
এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী গণমাধ্যমকে বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার উপর আবহাওয়ার একটা প্রভাব আছে। কোভিড-১৯ এর উপর প্রভাব থাকতে পারে।
“কিছু গবেষণা এসেছে। যাতে বলা হচ্ছে যে উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর প্রভাবটা ওইভাবে থাকবে না। তবে ইটস স্টিল হাইপোথিটিক্যাল। আশার বাণী আর কী! “
তিনি বলেন, “এতে এখনও আত্মতৃপ্তি নেওয়ার কিছু নেই, উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের লকডাউন চালিয়ে যেতে হবে। যেভাবে যা করা দরকার, তা কন্টিনিউ করতে হবে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, এপ্রিলে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২ টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
তিনি জানান, এ মাসের দেশের উত্তর, উত্তর পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এসময় দেশের অন্যত্র ৪-৬ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।