তাপমাত্রা নির্ধারিত হয় তার ভেতরের কণাগুলোর এলোমেলো ছোটাছুটি বা গতির দ্বারা। ছোটাছুটি বেশি হলে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, কমলে তাপমাত্রা কমে।
তাপমাত্রা যখন পরমশূন্যের কাছাকাছি চলে যায়, তখন ওই গ্যাসের কণাগুলো প্রায় নিশ্চল হয়ে পড়ে। যখন পরমশূন্য তাপমাত্রা বা শূন্য কেলভিনে পৌঁছায়, তখন সেখানে কণাগুলোর কোনো গতি থাকে না। তাপশক্তি শূন্য জৌলে পৌঁছায়।
এই অবস্থায় হারানোর মতো আর কোনো তাপশক্তি থাকে না বলে তাপমাত্রা পরমশূন্যের নিচে নামা সম্ভব নয়। সবচেয়ে কম এই তাপমাত্রার পরিমাণ সহজে বোঝার জন্য আমরা বলতে পারি, পরমশূন্য তাপমাত্রা হলো (–২৭৩.১৫) ডিগ্রি সেলসিয়াস বা (–৪৫৯.৬৭) ডিগ্রি ফারেনহাইটের সমান। এই তাপমাত্রায় ওই বস্তু বা গ্যাসের অণু–পরমাণুর গতি স্তব্ধ হয়ে যায়।
আসলে খাতাপত্রের হিসাবে, কোনো বস্তুর তাপমাত্রা পরমশূন্য হতে পারে, কিন্তু এখন পর্যন্ত শূন্য কেলভিন তাপমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হলেও কোনো গবেষণাগারে পরমশূন্য তাপমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।