জুমবাংলা ডেস্ক: সারাদেশে জ্যৈষ্ঠের খরতাপে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। কোথাও নেই বৃষ্টির লক্ষণ। মে মাসের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ এখনও চলছে, যা আরো পাঁচ থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে। রোববার দেশের ৪৪টি আবহাওয়া স্টেশনের পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর এমনই তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আষাঢ় মাস আসতে আর প্রায় এক সপ্তাহ বাকি। সবার আশা, বর্ষার আগমনে তখন বৃষ্টি নামলে হয়তো এ অসহনীয় গরম থেকে পরিত্রাণ মিলবে।
আরো জানা গেছে, আগামী পাঁচ-ছয় দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি নামতে পারে। তবে ১৩ জুনের আগে সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা কমার মতো ভারী বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে না।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে ৩১টিতেই মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে এমন তাপমাত্রা গত ৬৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ১৯৫৮ সালের ৩ জুন দিনাজপুরে ৪১.১ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, সমুদ্রের উপরিভাগের তাপমাত্রা ২৬.৫ এর ওপরে থাকা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ। বর্তমানে সাগরের উপরিভাগের তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি পর্যন্ত রয়েছে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, প্রথমে আরব সাগরে ও পরে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরের ঝড়টি সর্বোচ্চ গভীর নিম্নচাপ পর্যায়ে যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ বাংলাদেশের ওপর ৭ জুন থেকে পড়া শুরু করবে। তখন দেশব্যাপী মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা আছে ১০ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।