জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থীদের বৈধতা নিশ্চিত হওয়ার পর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নিজেদের জন্য ভোট চাইলেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির প্রার্থী মো. ইশরাক হোসেন। এসময় ফজলে নূর তাপসকে ‘বড় ভাই’ সম্বোধন করে তার সাথে একমত প্রকাশ করেন ইশরাক। এছাড়া নিজ নিজ দলের প্রার্থী ও কর্মীদের নির্বাচনি আচরণ বিধি মেনে চলার অনুরোধও জানান এই সিটি নির্বাচনের হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) গোপীবাগ রিটানিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র প্রার্থীদের বৈধতা নিশ্চিত হওয়ার পর ৭ মেয়র প্রার্থীরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেন।
এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আসছে ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন ইসি সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করবে বলে আশা করছি। আমি মনে করি সবার অংশগ্রহণে একটি উৎসবমূখর নির্বাচন হবে। আমি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সবাইকে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, যদি তীব্র শীতও থাকে আমি আপনাদের কাছে আহ্বান জানাব ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজের ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটের মাধ্যমে আপনাদের সেবককে নির্বাচন করবেন। আমার দল এবং আমার নির্বাচনি কার্যক্রমে যারা অংশ নিবেন সবাইকে অনুরোধ করব কমিশনের সব নিয়মকানুন মেনে প্রচারণা চালাবেন।
এসময় শেখ ফজলে নূর তাপসকে ‘বড় ভাই’ সম্বোধন করে বিএনপির প্রার্থী মো. ইশরাক হোসেন জানান, তাপসের সঙ্গে তিনিও একমত।
তিনি বলেন, ‘আমার বড় ভাই পাশে রয়েছেন, তিনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আগামী ৩০ জানুয়ারি যে নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ভোটাররা অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। এটি আপনাদের অধিকার, আপনারা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে আগামীতে আপনাদের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলব। একইসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে যারা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন তারাও যেন আচরণবিধি মেনে চলেন বিনীতভাবে এই অনুরোধ করছি।’
এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ সাত প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন।
মনোনয়ন পাওয়া ৭ প্রার্থী হলেন-আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস , বিএনপির ইশরাক হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আক্তারুজ্জামান, এনপিপির বাহারানে সুলতান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রহমান, জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন ও গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন।