সিগারেট উৎপাদন খাঁতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা শুল্ক এবং কর বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এভাবে কর আরোপ করা হলে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করে তারা।
ঐ তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনে করেন যে, এভাবে কর বৃদ্ধি না করে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব খাতের সংস্কার প্রয়োজন। তবে সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। কর বৃদ্ধি করা হলে এক হাতে যারা জীবিকা অর্জন করেন তাদের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। দেশে সিগারেট খাতের অবদান অর্থনীতিতে কতটা সেটাও তারা প্রকাশ করেন। আমাদের দেশে ১৬ লাখ মানুষ সাধারণত সিগারেট শিল্প খাতে কাজ করে থাকে।
সিগারেট খাত ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট কর প্রদান করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় তিন প্রধান তামাক প্রতিষ্ঠান সিগারেট খাতের সরকারি রাজস্বে প্রায় ৯০ শতাংশ অবদান রাখে। ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ অংশীজনদের সঙ্গে কোন পরামর্শ ছাড়াই নীতি পরিবর্তন ও হঠাৎ কর বৃদ্ধি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
তামাক খাতের এই তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় এবং অন্যতম পুরোনো প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ হওয়া সত্ত্বেও সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনের ফলে এ শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি রুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়িক খাতে নীতিগত অসঙ্গতি তৈরি হবে, যা শেষ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ কর বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁরা এ খাতকে আরও বিভিন্ন শঙ্কা থেকে রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক রোডম্যাপ নিয়ে আসা এবং টেকসই নীতি প্রণয়নে অংশীজনদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলোচনা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।