জুমবাংলা ডেস্ক : বলতে গেলে মৃত্যুর মুখ থেকেই ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। হার্ট অ্যাটাক করা তামিমের মুখ দিয়ে ফেনা পড়ছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের রেফারি ছিলেন দেবব্রত পাল। তামিমের অস্ত্রোপচার শেষে তিনি মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। জানান, মাঠে তামিমকে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো।
তামিমের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তার মুখ দিয়ে ফেনা পড়ছিল। দেবব্রত পাল বলেন, তার মুখ দিয়ে ফেনা পড়ছিল। বিকেএসপির ডাক্তার বলছে, পালস পাওয়া যাচ্ছে না। এত বাজে অবস্থা যে, ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করি তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকা নেবো না হাসপাতালে ব্যাক করবো।
তিনি আরও বলেন, আমি তামিমের পায়ের দিকে ছিলাম, তামিম তামিম বলে ডাকছি। ডাক্তার বলছে দাদা ঢাকা নেওয়া ঠিক হবে না। তখন সিদ্ধান্ত নেই হাসপাতালে ব্যাক করবো।
দেবব্রত পাল আরও বলেন, রাস্তায় জ্যাম না থাকায় আমাদের গাড়ি ৪/৫ মিনিটে পৌঁছে যায়। গাড়ির মধ্যেই তার চিকিৎসা চলছিল। হঠাৎ তার রেসপন্স পাওয়া যায়। এরপরই বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাদের বলি, হাসপাতালে গিয়েই যেন চিকিৎসা সেবা পাই। তারা সেই ব্যবস্থা করেন।
এর আগে, সকালে টসের পর হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় বিষয়টি দ্রুত দলের ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। প্রাথমিকভাবে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা মনে হওয়ায় তিনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে নিকটতম হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা শেষে তিনি বিকেএসপিতে ফিরে আসেন।
এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। দলের (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব) ম্যানেজার শিপন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে তাকে ফের নিকটতম কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয় এবং রিং পরানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।