স্পোর্টস ডেস্ক : ঠিক আগের দিনই অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলকে জিতিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। দারুণ বোলিংয়ের পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন। ম্যাচ শেষে নিজের নির্দিষ্ট একটি ব্যাটিং পজিশনের জোর দাবিও জানিয়েছিলেন।

সেই মেহেদী ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তিনে নেমে আরেকটি ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। জ্বলে উঠল তামিম ইকবালের ব্যাটও। এই দুইয়ের ব্যাটে সিলেট থান্ডারের দেওয়া ১৭৫ রান তাড়া করেও অনায়াস জয় পেল ঢাকা প্লাটুন।
মঙ্গলবার বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার জয় ৮ উইকেটের। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান করেছিল মোসাদ্দেক হোসেনের সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ঢাকা। এর আগে ঢাকা পর্বেও সিলেটকে হারিয়েছিল ঢাকা।
তামিম ইকবাল ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। ৪৯ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। আসরে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। তামিম-এনামুল উদ্বোধনী জুটিতেই যোগ করেছিলেন ৫৮ রান। দ্বিতীয় উইকেটে মেহেদী ও তামিম জুটি ৮৭ রান যোগ করলে সিলেট ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে।
মেহেদী ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন। ইবাদতের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ রান করেন তিনি। এর আগে এনামুল হক বিজয় ৩২ রান করে সিলেটের প্রথম শিকার হয়েছিলেন। চারে নেমে জাকের আলি খেলেন অপরাজিত ২২ রানের ইনিংস।
এর আগে শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারানো সিলেটকে দ্বিতীয় উইকেটে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন আব্দুল মজিদ ও জনসন চার্লস জুটি। ৫০ রান আসে এই দুজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। তাতে অবদান তিন নম্বরে নামা চার্লসেরই। শাদাব খানের বলে আসিফ আলিকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৫ বলে ৩ চার ও ৮ ছক্কায় ৭৩ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান।
অসাধারণ ব্যাট করেছেন মিঠুন। ৩১ বলে এক ৪ ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৪৯ রান করেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ২৮ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন আরেক ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান রাদারফোর্ড। ঢাকার বোলারদের মধ্যে ২৬ রানে ২ উইকেট নেন শহীদ আফ্রিদি।
দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী। আগের ম্যাচেও সেরা ছিলেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



