এনামুল হক দুখু, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: ‘এই পানিত মুই ক্যাং করি কামাই করিম বাহে। বাজারের রাস্তাত তো এক হাঁটু পানি জমি আছে। চৌপথী থাকি অগ্রণী ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত। একে তো ভাঙ্গা রাস্তা তার উপর এক হাঁটু পানি। বাবা আইজ হাটের দিন মুই খালি সারাদিন ৮০ টাকা কামাই করছুং। বউ বাচ্চাক মুই আইজ কি খরচ নিগি খিলাইম আল্লাহ জানে!’
ভারাক্রান্তভাবে কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর কর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামের ৬০ বছরের অসহায় ভ্যানচালক আবেদ আলী।
তারাগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজারের ১ কিলোমিটারের এই রাস্তাটি খাল-খন্দে ও সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে থেকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যানবাহন চলাচলা করে। কিন্তু সড়কটির তারাগঞ্জ সদর হাট-বাজার ১ কিলোমিটার সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে গেছে। এর ফলে চলাচলা করতে গিয়ে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তাটির পাশেই উপজেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তিনটি সরকারি ব্যাংক রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, তারাগঞ্জ ও/এ ফাজিল মাদ্রাসা, তারাগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। রাস্তাটির এমন অবস্থার কারণে বিদ্যালয়ে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ বনিক সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আপান বলেন, ওই সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে তারাগঞ্জ হাট-বাজার। সরকার এই হাট থেকে এই বছর ২ কোটি ৯ লাখ টাকা ইজারা পেয়েছে। এই হাটে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি দোকানদার রয়েছে। কিন্তু হাঁটু এলাকার ১ কিলোমিটার বেহাল হওয়ার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দা চলছে। ভাঙ্গাচোরা রাস্তার কারণে অনেক ক্রেতাই এখন বাজারে আসছে না।
কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকার বলেন, ১ মাস আগে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বর্তমানে কাঁদা পানি জমে সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর আহমেদ হায়দার জামান বলেন, সড়কটির ওই বেহাল অংশের কথা আমাদের জানা আছে। এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।