জুমবাংলা ডেস্ক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল হক চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সফিকুল হক চৌধুরীর সুসম্পর্ক ছিল।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশের কর্মসংস্থানে ও সমাজ সেবার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এনজিও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এনজিও।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন মানবিক, সদা হাস্যউজ্জল ও মহৎ মনের অধিকারী।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নে আশার সফিকুল হক চৌধুরীর অনেক বেশি অবদান আছে। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। অত্যন্ত মানবিক ব্যক্তি ছিলেন। আমরা চরমভাবে ব্যথিত হয়েছি। তার মতো ভালো মানুষ খুব বেশি আসে না পৃথিবীতে।’
উল্লেখ্য, আশা’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মো. সফিকুল হক চৌধুরী ১৯৪৯ সালে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার নরপতি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে বি. এ (সম্মান) সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিসিএস ১৯৭৩ ব্যাচের প্রবেশনারী কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েও চাকরিতে যোগদান না করে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করেন এবং দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ উন্নয়ন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সফিকুল হক চৌধুরী ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা আশা করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০৬ সালে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।