জুমবাংলা ডেস্ক: মসজিদের নিচের গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকেই গ্যাস জমে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
একই ধারণা ঘটনার পরিদর্শনে আসা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
মসজিদের ফ্লোরের নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস বদ্ধ মসজিদের ভেতরে জমা হয় এবং কোথাও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ঘটলে এসিগুলো বিস্ফোরিত হয় বলে ধারণা করেছেন তিনি।
তিতাসের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে মসজিদ কমিটির অভিযোগ, প্রায় ৯ মাস আগেই গ্যাসলাইনের লিকেজ মেরামতের জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হলেও ৫০ হাজার টাকার জন্য কাজ করেনি তিতাস।
তবে তিতাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কথা শোনেননি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ লিখিত আকারে এখনও উপজেলা প্রশাসন পায়নি। যদি এমন অভিযোগ আসে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এছাড়াও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত, নিহতদের সমবেদনা এবং বিস্ফোরণে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
নাহিদা বারিক বলেন, নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। যারা নারায়ণগঞ্জের তাদের লাশ স্থানান্তর এবং দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা দূরের তাদেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন।
বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। জানালার কাচ উড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।