জুমবাংলা ডেস্ক : করলা খেতে তিতা হলেও ফলনও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি নওগাঁর কৃষকরা। নওগাঁর মান্দায় সবচেয়ে বেশি করলার চাষ হয়। করলা চাষে খরচ কম এবং ফলন বেশি পাওয়া যায়। আর বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় যায় বলে কৃষকরা করলা চাষে ঝুঁকছেন। এই স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক কৃষক পরিবার।
জানা যায়, মান্দা উপজেলার বালিশ, কুসুম্বা, ছোট্ট মুল্লুক, দেলুয়াবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রামের করলার খেতে সবুজ আর হলুদে ভরে উঠেছে। এই উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেরই করলার নীরব বিপ্লব ঘটেছে। এদিকে করলার ফলন ও বাজারদরে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই অঞ্চলের কৃষকরা রানীপুকুরি জাতের করলার বেশি চাষ করছেন। করলাকে কেন্দ্র করে মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের বালিচ গ্রামের রাস্তার পাশে পাইকারি বাজার বসে। এখান থেকেই কৃষকের উৎপাদিত করলা ট্রাকে করে ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় চলে যাচ্ছে।
মান্দার বালিচ গ্রামের কৃষক জামাল বলেন, এবছর আমি ২ বিঘা জমিতে করলা চাস করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় করলার ব্যাপক ফলন পেয়েছি। ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছি। জমিতে যা করলা আছে আরো ১ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো।
জয়বাংলা গ্রামের কৃষক রইচ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে আমি ৬০ শতক জমিতে করলার চাষ করেছি। করলা চাষে আমার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমি থেকে পাইকাররা ৭০০-৮০০ টাকা মণ দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছি। আরো ৬০-৭০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করতে পারবো।
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস বলেন, করলা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা করলা চাষে ঝুঁকছেন। দিন দিন করলার আবাদ বাড়ছে। মান্দা উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ করা হয়েছে। করলা চাষে লাভবান হতে পেরে কৃষকরা খুশি। করলা চাষে আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।