জুমবাংলা ডেস্ক: বর্তমানে করলা, রেখা ও ধুন্দল চাষ করে ভাগ্যবদল করেছেন। বলছি, ভোলা ইলিশা রামদাশপুরের শফি জমাদারের কথা। কৃষি কাজ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। জীবিকা নির্বাহ করতে তিনি মাছ শিকার ও সামান্য কৃষি কাজ করে আসছেন। বিগত ১০ বছর যাবত ধরে করা কাজ বাদ দিয়ে তিনি কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেছেন।
শফি জমাদার ভোলার ইলিশা রামদাশপুর কান্দির বাসিন্দা। সংসার চালানোর জন্য তিনি মাছ শিকার ও সামান্য কৃষি কাজ করতেন। তবে তাতে কোনো উন্নতি না হলে সেগুলো ছেড়ে পুরোপুরি কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন। তার নিজেস্ব কোনো জমি নেই। তিনি অন্যের জমি বর্গা নিয়ে করলা, রেখা ও ধুন্দল চাষ করেন। এখন আর মাছ শিকার করে খেতে হয় না। তার দেখাদেখি অনেক কৃষক কৃষি কাজে যুক্ত হয়ে সফল হয়েছেন। বর্তমানে এই সবজিগুলো চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দিন বদলে গেছে।
তাঁর এলাকার বেড়ি বাঁধের পাশেই মেঘনার কুলে ঝাঁকায়রেখা করলা আর ধুন্দল চাষ করেছেন। জাল দিয়ে তৈরি করা তার মাচাং এর ভেতরে ঝুলছে রেখা। আর করলা তুলে বাঁধের পাড়ে স্তুপ করে রেখেছেন। তার সাথে সাথে আরো কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছেন। তা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তারা সবজিগুলো পেকিং করে দিচ্ছেন।
কৃষক শফি জমাদার বলেন, আমি অন্যের ৩ একর জমি বর্গা নিয়ে এই তিন ধরনের সবজির চাষ করছি। এই তিন জাতের সবজি চাষে আমার ২ লাখ টাকার খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকার বেশি সবজি বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো ২ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবো।এখন দাম অনেক কমেছে গতকাল করলা ঢাকার বাজার প্রতি কেজি ৪০ টাকা ও রেখা ২৮ টাকা ছিলো। প্রথমদিকে প্রতি কেজি করলা ৯৫ টাকা ও রেখা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরেছি।
জেলা কৃষি কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, ভোলার মাটি ও আবহাওয়া সব ধরনের সবজি চাষের জন্য উপযোগী। এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে রেখা ও করলার চাষ হয়। আমরা কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। কৃষকার তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।