কবির হোসেন : দুর্নীতি ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে ২০১৯ সালে বিচারকাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে তাদের কোনো বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয় না। কোনো মামলার বিচারকাজ করেন না। তবে বিচারকাজে না থাকলেও বেতন-ভাতা, রাষ্ট্রীয় প্রটোকলসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন তারা। অভিযুক্ত তিন বিচারপতি হচ্ছেন সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজাউল হক ও একেএম জহিরুল হক।
দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এরপর প্রায় চার বছর সময় পার হলেও তিন বিচারপতির ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে কোনো কাজ না করেই বসে বসে তিন বিচারপতি বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এসব বিচারপতির সঙ্গে সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবে সংযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের ২৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ২৭ জনের মধ্যে এখনো ২৫ জনই তাদের সঙ্গে আছেন। সম্প্রতি একজন বেঞ্চ অফিসার ও একজন সহকারী বেঞ্চ অফিসার অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, হাইকোর্টের একজন বিচারপতির ৯৫ হাজার টাকা মূল বেতন, বাড়ি ভাড়া, অন্যান্য ভাতাসহ সর্বমোট প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে অপরিমিত (আনলিমিটেড) চিকিৎসা ভাতা, টেলিফোন বিলসহ আরও কিছু সুবিধা পান। সঙ্গে একজন বিচারপতি পান একজন বেঞ্চ অফিসার। এই বেঞ্চ অফিসারের প্রবেশ পদ অষ্টম গ্রেডের হলেও অনেক বেঞ্চ অফিসার চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা। একজন সহকারী বেঞ্চ অফিসার পান, যিনি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পান, যিনি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা।
এ ছাড়া পেয়ে থাকেন একজন গানম্যান, একজন ড্রাইভার, একজন জমাদার ও তিনজন পিয়ন। একজন বিচারপতির সঙ্গে কমপক্ষে ৯ জন স্টাফ সংযুক্ত থাকেন। এসব সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতাসহ তিন বিচারপতির পেছনে বিগত প্রায় চার বছরে অন্তত ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বিপরীতে একটি মামলারও বিচার হয়নি তাদের হাতে। ফলে ইতোমধ্যে জনগণের প্রায় ১০ কোটি টাকা অপচয় হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কবে আসবে, সেটা এখনো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তিন বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ২০২৫ সালের ২৮ নভেম্বর এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হক ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যাবেন। তাদের অবসরে যাওয়ার আগে অভিযোগের নিষ্পত্তি হবে কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি জাতীয় পাটির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক তিন বিচারপতির বিষয়টি জাতীয় সংসদকে অবহিত করেন। তিনি সংসদে বলেছিলেন, ‘তারা রাষ্ট্রের সব সুবিধা নেন দেড় বছর ধরে, বেতন নেন অথচ কাজ করেন না। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে নাকি জনগণ জানে না। এটি জানার কী ব্যবস্থা, যদি অভিযোগ থাকে তাদের বিরুদ্ধে, তাহলে কী ব্যবস্থা আছে—এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তখন বলেছিলেন, আমি সংসদ সদস্যর সঙ্গে একমত যে, এ বিষয়টির সুরাহা হওয়া উচিত। সংসদ সদস্যকে বলতে চাই, এ বিষয়টি সুরাহার পথে।’ সংসদে দেওয়া ওই বক্তব্যের পর দুই বছরের বেশি সময় পার হয়েছে; কিন্তু সমাধান হয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, এই তিন বিচারপতি ২০১৯ সালের আগস্টে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর কিছুদিন ছুটিতে ছিলেন। পরে আর তারা ছুটি নেননি। মাঝেমধ্যে তারা সুপ্রিম কোর্টে তাদের জন্য নির্ধারিত অফিস কক্ষে আসেন এবং কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে চলে যান। তবে তাদের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত ও অপসারণ কোন পদ্ধতিতে হবে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আর এ কারণে তাদের বিষয়টি ঝুলে থাকতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদের কাছে। পরে সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবীর করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই ওই আপিল খারিজ করে রায় দেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করা হয়, যা এখনো শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আবেদনের ওপর শিগগিরই চূড়ান্ত শুনানি হবে। এরপর তিন বিচারপতির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’ এ ছাড়া তিন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আইনমন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলও নেই। তার কারণ রায়টি রিভিউয়ের মধ্যে রয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধানের চারটি উপ-অনুচ্ছেদ ছিল, ১৯৭৭ সালে বেআইনিভাবে আনা ৯৬ অনুচ্ছেদে যুক্ত করা হয়েছিল আটটি উপ-অনুচ্ছেদ। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে পদত্যাগসংক্রান্ত উপদফাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়নি। ফলে তিন বিচারপতি পদত্যাগও করতে পারছেন না।’
তবে এক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহ্দীন মালিক বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আপিল বিভাগের রায়ে বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়ার পরই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল হয়েছে। কারণ ওই রায়ের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ নেই। সরকারের একটি রিভিউ আবেদন বিচারাধীন। সে কারণে রাষ্ট্রপতি চাইলেই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে তিন বিচারপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রম প্রসঙ্গে শাহ্দীন মালিক বলেন, এই প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পরবর্তী দুজন জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে নিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠিত হবে। তারা অভিযুক্ত তিন বিচারপতির কাছে অভিযোগের বিষয়ে জবাব চাইবেন। পরে প্রয়োজনে তাদের সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করবেন। এর আলোকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে মতামত পাঠাবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিন বিচারপতিরও বিচার পাওয়ার যেমন অধিকার রয়েছে; তেমনি তারা অপরাধ করলে তারও বিচার হওয়া উচিত। তারা দোষী প্রমাণিত হলে তার যেমন দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত, তারা অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলে তারও দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। বছরের পর বছর উচ্চ আদালতের তিনজন বিচারপতির দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টি কোনোভাবেই ধোঁয়াশার মধ্যে রাখা উচিত নয়। আর এ বিষয়টি মাথায় নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতিকে দ্রুত এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো:
জানা যায়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ২০১৬ সালে মিজানুর রহমান ও রাজিয়া রহমানের কাছ থেকে ২০৯ কোটি ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার ১২৮ টাকা আদায়ের লক্ষ্যে অর্থঋণ আদালতে একটি মামলা করে। মামলার এক পর্যায়ে হাইকোর্টে একটি ডিক্রি চেয়ে রিট করেন মিজানুর রহমান। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটকারী এম আর ট্রেডিংয়ের মিজানুর রহমানের অনুকূলে আদেশ দেন। এতে ১৩৬ কোটি টাকার ডিক্রি, ব্যাংক ঋণের টাকা সমন্বয়ের পর সম্পত্তি বিক্রির বাদ বাকি ৪৮ কোটি টাকা এবং বন্ধকি আড়াই লাখ বর্গফুট আয়তনের বহুতল ভবন ফেরত দিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপর ডিক্রি জারি করার জন্য ঢাকার অর্থঋণ আদালতকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। এই রিটে অগ্রণী ব্যাংককে বিবাদী করা হয়নি। পরে অর্থঋণ আদালত ডিক্রি জারির আদেশ বাস্তবায়ন করেন। ডিক্রির আদেশ পেয়ে রিটকারী তার রিট মামলাটি আর চালাবেন না মর্মে প্রত্যাহারের আবেদন করলে হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর রুল খারিজ করে দেন।
এই রুল খারিজ আদেশের অনেক দিন পরও ডিক্রির আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে ন্যাশনাল ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের (এমডি) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। হাইকোর্ট এ মামলায় ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডিকে তলব করলে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল ফাইল করা হয়। ২০১৯ সালের ১৬ মে এই লিভ টু আপিলের শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল হাইকোর্টের ওই আদেশকে ‘অস্বাভাবিক’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান। অ্যাটর্নি জেনারেল সেদিন ওই দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে বিষয়টি পাঠানোর পরামর্শ দেন। আপিল বিভাগও সেদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলার বিবাদী এমআর ট্রেডিংয়ের মালিক আলহাজ মিজানুর রহমানকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেন। আদালত আবেদন নিষ্পত্তি করে রায় দেন। লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগের রায়ে হাইকোর্টের ওই অন্তর্বর্তী আদেশকে ‘রহস্যময়’ বলা হয়। আপিল বিভাগ বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ পুরোপুরি অবৈধভাবে ওই অন্তর্বর্তী আদেশ প্রদান করেছিল। সূত্রমতে, বিশাল অঙ্কের টাকার এ মামলায় অন্তর্বর্তী আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুতর অভিযোগ ওঠে হাইকোর্ট বেঞ্চের ওই দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে। অনিয়ম করেই রুল জারির সময়ে ডিক্রি প্রদান করেছিলেন।
এ ছাড়া বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের বিরুদ্ধে বেঞ্চের অন্য কনিষ্ঠ বিচারপতিকে ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই বিচারপতি সংবিধানের আলোচিত ষোড়শ সংশোধনী (বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিয়ে এই সংশোধনী করা হয়) বাতিলের রায় প্রদানে তিন সদস্যের যে প্যানেল ছিল, তিনি তারও একজন।
পরিচিতি :
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী সাবেক বিচারপতি এটিএম মাসুদ চৌধুরীর মেয়ে। তিনি ১৯৮১ সালে জেলা আইনজীবী সমিতি, ১৯৮৩ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০২ সালের ২৯ জুলাই তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত (অস্থায়ী) বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এবং বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ও সিলেট জেলার অধিবাসী।
বিচারপতি কাজী রেজাউল হক জেলা আইনজীবী সমিতিতে ১৯৮৫ সালে এবং হাইকোর্টে ১৯৮৯ সালে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তার বাড়ি ফেনী জেলায়। বিচারপতি একেএম জহিরুল হক ১৯৮৪ সালে জেলা জজ আদালতে, ১৯৯০ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি সরকারের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। পরে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল তাকে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল তাকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করে সরকার। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। সূত্র : কালবেলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।