জুমবাংলা ডেস্ক : মারা যাওয়ার তিন মাস পর গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডিমলা পদুমশহরের রচনা রানী রপার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। রপার পরিবারের দাবি, যৌতুক না পেয়ে বগুড়ায় স্বামী ও তার স্বজনরা রচনা রানী রপাকে হত্যা করে। তার লাশ তোলার পর হত্যাকারীদের শাস্তি চেয়ে রপার বাবার বাড়ি গাইবান্ধার ডিমলা পদুম শহরে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাইবান্ধার সাঘাটার ডিমলা পদুম শহর গ্রামে এলাকার মেয়ে রপা হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করে শিশু নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নানা বয়সের মানুষ। রপাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
রপার মা চম্পা রানী ও বাবা রতন চন্দ্রের অভিযোগ, যৌতুক হিসেবে নগদ সাড়ে ছয় লাখ টাকা, আসবাপপত্র ও স্বর্ণালংকারসহ বগুড়ার মোকামতলার অনিক অধিকারীর সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে দেয়া হয় রচনা রানী রপাকে। বিয়ের প্রায় তিন বছরের মাথায় নিজের চাকরীর জন্য রপাকে বাবার বাড়ি থেকে আরো পাঁচ লাখ টাকা আনতে বলে অনিক। গত ৫ নভেম্বর রপার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে খবর দেওয়া হয় হার্ট অ্যাটাকে রপা মারা গেছে। তারা সেখানে গিয়ে দেখতে পান ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে রপার মরদেহ।
এ ঘটনায় ওই দিনই অনিক অধিকারী তার বাবা, মা ও ভাই অভি অধিকারীকে আসামি করে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় মামলা করে রপার বাবা রতন। অনিক ও তার অভিকে ভাইকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে অভি জামিনে ছাড়া পায়।
এরপর রপা আত্নহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। রপার বাবা ওই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রত্যাখানা করে গত ৭ জানুয়ারি আদালতে পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। আদালত ওই দিনই লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। রপার লাশ উত্তোলনের সময় মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে রপার মা, ভাই, বড় বোন ও এলাকাবাসী রচনা রানী রপাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম ফয়েজ উদ্দিন ও সাঘাটা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রচনা রানী রপার মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।