আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালেবান। এ অবস্থায় সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে অনুসারীদের জানিয়েছেন যে তিনি আফগানিস্তানেই তার মেয়েদের নিয়ে থাকছেন।
তিন মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ওই বার্তায় হামিদ কারজাই বলেন, ‘আমার মেয়েদের নিয়ে আমি কাবুলেই আছি। আমি সরকারি বাহিনী ও তালেবানদের জনগণের সুরক্ষা প্রদানের আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, দেশের এবং আমাদের রাজধানীর সমস্যাগুলো আমরা ভালো উপায়ে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে পারব।’
২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় আফগানিস্তানে ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান সরকার। ওই সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হন হামিদ কারজাই। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। কারজাইয়ের পর আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় আসেন আশরাফ গনি।
এদিকে, আফগানিস্তানে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বানও জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম আল-জাজিরাকে জানান, তারা অতিদ্রুত আফগানিস্তানের নতুন সরকার সম্পর্কে সবকিছু পরিষ্কার করে জানাবে।
মোহাম্মদ নায়েম বলেন, আমরা যেখানে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম সেখানে পৌঁছেছি। আমরা মানুষের জন্য স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারো ক্ষতি করতে চাই না এবং অন্য কাউকে আমাদের ভূমি ব্যবহার করে কারো ক্ষতি করতে দিতে চাই না।
এর আগে রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে কাতারের দোহায় অবস্থানরত তালেবান মুখপাত্র সুহায়েল শাহীন বলেন, ‘আফগানিস্তানে যারা এর আগে আগ্রাসীদের জন্য কাজ করেছে, সাহায্য করেছে বা এখন যারা দুর্নীতিবাজ কাবুল প্রশাসনের বিভিন্ন পদে আসীন রয়েছেন তাদের সবার জন্য ইসলামিক আমিরাত দরজা খোলা রেখেছে এবং ক্ষমা ঘোষণা করেছে। আমরা আরেকবার তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যেন তারা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসেন।’
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, তালেবান তাদের বাহিনীর সদস্যদের শান্ত থাকার ও সহিংসতা এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আল -জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার মির্জা কওয়াল বলেছেন, আফগান জনগণকে চিন্তা করতে হবে না। শহরে কোনো হামলা হবে না এবং শান্তিপূর্ণভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে জালালির নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন তালেবান দেবে কি না, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
তবে সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের জন্য এখন পর্যন্ত জালালিই সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



