
জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সাতকোয়া পাহাড়ি বন এলাকায় তিন স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার আরেক আসামি রাসেল (২২) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসানাতের আদালতে তাকে তোলা হয়। আদালতে গণধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় রাসেল।
এরপর আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাসেল ঘাটাইল উপজেলার সন্ধ্যানপুর গ্রামের শুকুর মাহমুদের ছেলে। এর আগে দুপুরে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানভীর আহাম্মেদ বলেন, একসঙ্গে তিন স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার চারজনের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় দুই ধর্ষক। তারা হলো বাবুল (৩০) ও ইউসুফ (৩৫)। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুমন কুমার কর্মকার ও আরিফুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি নেন। এ মামলায় গ্রেফতার অপর আসামি সবুজ এখনও জবানবন্দি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, রবিবার উপজেলার এসই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির চার ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক দুপুর দেড়টায় তারা ঝড়কা এলাকায় যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু হৃদয় ও শাহীন।
পরে তারা আশিক নামের এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে সাতকুয়া এলাকায় সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জের উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘুরতে যায়। এ সময় ৫-৭ ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে এবং হৃদয়, শাহীন ও আশিককে মারধর করে তিন ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় আরেক ছাত্রী দেখতে ধর্ষকদের এক ভাগনির মতো হওয়ায় ধর্ষণ করেনি তারা। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই তিন ছাত্রীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
পরে ওই চার ছাত্রী সেখানে তাদের একজনের নানির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হয়। অভিভাবকরা থানা পুলিশকে জানালে তারা চার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সোমবার মামলা করা হয়। মঙ্গলবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তিন স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাদের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে নেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।