তিস্তায় প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের আগ্রহের কথা আগেই জানা গেছে। এবার চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পররাষণ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানালেন যে, এ বিষয়ে একটি কারিগরি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আগেই জানিয়েছেন যে, জানুয়ারি নাগাদ তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে। ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে স্পর্শকাতর প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের ব্যাপারে ভারতের আগ্রহের কথা বিগত সরকারের আমলে জানা গিয়েছিলো।
কারিগরি দলটি আগামী মাস নাগাদ বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রকল্প চীনের ঋণে হবে। কত টাকা ব্যয় হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশের তরফ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ চাওয়া হয়েছে। কারিগরি দিক ও সম্ভাব্যতার সার্বিক বিচার বিশ্লেষণের পর ঋণের পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে। বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে চীনের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে আগ্রহী। এটা বিভিন্ন সময়ে সরকারের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ নেগোশিয়েশনের কাজ করছে।
চীনের বৈশ্বিক সুশাসন উদ্যেগে (জিএসআই) যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ নোট নিয়েছে। গত মার্চে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর তিস্তা প্রকল্প এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করে অন্তর্র্বতী সরকার।
২২ ক্যারেট সোনার দাম: আজ কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি স্বর্ণ?
এর পরিপ্রেক্ষিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনে মে মাসে একটি চিঠি দেয়। তাতে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের ঋণ নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। ২০২৪ সালের মে মাসের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়েত্রা তিস্তা প্রকল্পে ভারতের বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার চেয়েছিল, প্রকল্পটিতে যেন ভারত অর্থায়ন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।