লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমের হাত থেকে সামান্য নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায়ও যদি জানা যেত, তবে ফি মাসে ইলেক্ট্রিক বিলের অঙ্ক নিয়ে চিন্তা দূর হত। কিন্তু সে আর হয় কই! গরমের দাপটে নাজেহাল অবস্থা। তার উপরে যথেচ্ছ এসি (Air Conditioner) চলছে। মাস গেলে পকেট ফাঁকা হওয়ার জোগাড়। তবে এসি নিয়ম মেনে চালালে বিদ্যুতের বিলের অনেক সাশ্রয় হতে পারে। তার জন্য কী কী করতে হবে, জেনে নিন টিপস।
কী কী নিয়ম মানলে এসি-র বিল বাঁচাতে পারবেন
১) ঘুমনোর সময়ে এসি-তে টাইমার লাগিয়ে রাখুন। এই গরমে এখন রাতভরই এসি চলছে। তাতে শরীরে আরাম হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মাসের শেষে বিরাট ধাক্কা লাগছে। দেখবেন, রাতে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। তার পর আর দরকার হয় না। কিন্তু গভীর ঘুমে তা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ করা হয় না। ফলে সারা রাত এসি চলতে থাকে। সেই জন্য টাইমার দিয়ে রাখলে ভাল। দু থেকে আড়াই ঘণ্টার টাইমার লাগিয়ে রাখলে নির্দিষ্ট সময়ের পর তা নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে।
২) এসি-র তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি থেকে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখুন। অনেকেই গরম থেকে বাঁচতে ১৬ ডিগ্রিতেও নামিয়ে দেন তাপমাত্রা। কিন্তু তাতে ইলেকট্রিকের খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। ২৫-২৬ ডিগ্রিতে এসি রাখলে বিদ্যুতের খরচ বিশেষ বাড়ে না।
৩) এসি যদি বছরে গড়ে ১০০০ ঘণ্টার কম চলে এবং বিদ্যুতের ইউনিট পিছু খরচ যদি ৫ টাকা হয় তবে ৩ স্টার স্প্লিট এসি কিনলেই চলবে। কিন্তু এসি যদি গড়ে বছরে ১০০০ ঘণ্টা থেকে ১৫০০ ঘণ্টা চলে তবে অবশ্যই ৫ স্টার স্প্লিট এসি কিনুন। তাতে বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই কম হবে। আর খুব পুরনো এসি চালাবেন না।
৪) এসির ফিল্টার পরিষ্কার করুন। অনেক দিন ধরে ব্যবহার করার ফলে এসির ফিল্টারে অনেক ময়লা, ঝুল জমে থাকে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ফিল্টার পরিষ্কার রাখা জরুরি।
৫) ঘরের তাপমাত্রা যত বেশি হবে এসি বা কুলারের মতো যন্ত্রের ঘর ঠান্ডা করতে তত বেশি সময় নেবে। সে ক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে এসি চালানোর প্রয়োজন পড়ে। বিলও বাড়তে থাকে চড়চড় করে। ঘরে মোটা পর্দা লাগালে বাইরের গরম হাওয়া ও আলো কম আসবে। ফলে ঘরও তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।