নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহ আরও দুই দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের অধিকাংশ এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রাজধানী ঢাকাতেও দুদিন ধরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এর কারণ ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে বাতাস।
ঘন কুয়াশার সাথে কনকনে ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষ সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পেতে হচ্ছে তাদেরকে।
এ অবস্থায় কাজে যেতে না পারায় শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরাও পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজে বের হলেও কনকনে ঠাণ্ডায় কাজ করতে পারছেন না।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহ আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ জানুয়ারি থেকে বিরাজমান পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকবে, পরবর্তী ৪/৫ দিন তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, তা দেশের কোথাও কোথাও বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, রাজশাহী বিভাগের ইশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ৭২ ঘন্টার শেষের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আবহাওয়ার সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬ টা ৪৪ মিনিটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।