জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফৌজদারহাট এলাকায় ডিসি পার্কে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার জের ধরে সড়ক অবরোধ করে লরি-ট্রাক চালক শ্রমিকরা। ফলে সড়ক অবরোধ থাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ডিসি পার্কের সামনে ট্রাক ও লরি দাঁড় করানোকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের সঙ্গে চালক ও সহকারীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু স্থানীয় জনতা ও ট্রাক চালকরা পার্কে হামলা চালিয়েছে। এ সময় পার্কের গেট, টিকেট কাউন্টার এবং বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। ডিসি পার্কে তাদের সহকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক না ছাড়ার হুমকি দেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, বিএম ডিপোর একটি লরি ফৌজদারহাট দিয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় ডিসি পার্ক থেকে একটি প্রাইভেটকার বের হয়। লরি চালককে সিগন্যাল দিলেও সে শুনেনি। এরপর ওই গাড়ির চালককে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনেহিঁচড়ে পার্কের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে আরও পাঁচজন চালক তাকে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে গেলে তাদেরও বেঁধে রেখে ব্যাপক মারধর করে ডিসি পার্কের নিরাপত্তাকর্মীরা। পর্যায়ক্রমে আরও শ্রমিক গেলে ৩০ জনের মতো শ্রমিককে তারা আটকে রাখে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ‘এক দফা এক দাবি, ডিসি পার্ক বন্ধ চাই’, ‘আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। সড়কের দুই পাশের ব্যক্তিগত ও অন্যান্য গণপরিবহন আটকে দিচ্ছিলেন তারা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার টেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. কায়েস চৌধুরী বলেন, যারা শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) কবির আহম্মদ বলেন, ডিসি পার্কে কয়েকজন গাড়ি চালককে মারধর করা হয়েছে- এমন অভিযোগ করছেন সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার না হলে তারা সড়ক ছাড়বেন না। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব) সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যারা এ হামলা করেছে তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।