২০২৩ সালে তুরস্কের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব রাজনীতিতে এ নির্বাচনের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এ.কে পার্টির বিপরীতে বিরোধী দল থেকে প্রার্থী কে হবেন সেটা নিয়ে এখনও সংশয় আছে।
কেউ কল্পনা করতে পারেনি যে এ.কে পার্টির বিরুদ্ধে ছয়টি বিরোধী দল এক জোট হতে পারবে। তুরস্কের এ বিরোধী দলগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য বেশি বেশ বিস্ময়কর। এসব পার্টির অনেক ব্যক্তি এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
অতীতে এরদোয়ানের সাথে বিরোধী দলগুলোর অনেক ব্যক্তি একসাথে কাজ করেছেন। তালিকার অনেক দলের আবার তেমন জনপ্রিয়তাও নেই। বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চায়।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সরকারি দলের শাসনে অনেক সফলতা থাকলেও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অবনতি ঘটেছে। নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষের আর্থিক দুরবস্থার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলগুলো প্রচারণা চালাতে চায়।
এরদোয়ানের এ.কে পার্টিকে পরাজিত করা এতটা সহজ হবে না। তুরস্কে তাদের জনপ্রিয়তা এখনো অনেক বেশি। এজন্য বিরোধী দলগুলো নিজেদের কৌশল ঠিক করতে এবং পার্থী বাছাই করতে সময় নিচ্ছে।
ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারা অঞ্চলে মেয়র নির্বাচনে এ.কে পার্টির পরাজয় বিরোধী দলগুলোকে আশার আলো দেখাচ্ছে। এ দু’জন মেয়র ২০২৩ নির্বাচনে বিরোধীদলের প্রার্থী হতে পারেন। ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরাম ইমালোগু সম্ভাব্য পার্থী হতে পারেন।
ইকরাম ইস্তাম্বুলে বেশ জনপ্রিয় হলেও কট্টর জাতীয়তাবাদ ও করোনা মহামারির সময়ে জনগণের কাছ থেকে দূরে থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাকে পার্থী করা হলে তিনি এরদোয়ানের দলের বিরুদ্ধে সফল হবেন কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ছয় বিরোধী দল নিজেদের মধ্যে কতদিন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবেন, আদৗ কোন ভালো পার্থী দাঁড় করাতে পারবেন কিনা এ নিয়ে বির্তক আছে। তাছাড়া বর্তমানে তুরস্কের শাসন পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপ্রধানের হাতে অনেক ক্ষমতা থাকে। জনগণ এমন কাউকে নির্বাচনে জেতাবেন না যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।