আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ভান প্রদেশ থেকে ১২ বাংলাদেশিসহ ৬৫ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার তাদের আটক করা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির প্রাদেশিক সুরক্ষা অধিদফতর। ইপেক্যোলু জেলায় একটি মিনিবাস থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক অন্যরা হলেন- আফগানিস্তানের ২৪ জন, পাকিস্তানের ২০, সিরিয়ার সাত ও মিয়ানমারের দু’জন নাগরিক। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাদেরকে প্রাদেশিক অভিবাসন দফতরে পাঠানো হয়েছে।
২০১৯ সালে রেকর্ড সংখ্যক চার লাখ ৫৪ হাজার ৬৬২ অবৈধ অভিবাসী বা অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে তুরস্ক। এদের মধ্যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময়ই প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে আটক করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম এশিয়া ও ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন দেশ হয়ে দুই বছর ধরে অবৈধ পথে ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে যারা গ্রেফতার হচ্ছেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে।
ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে তুরস্কে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি আটকে পড়েছে। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে গেছেন অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার বাংলাদেশি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিঙ্গি নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়া লোকজনের মধ্যে শীর্ষে আছে বাংলাদেশের নাগরিকেরা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এভাবে বাংলাদেশের ২ হাজার ৮০০ জন নাগরিক ইতালিতে গেছেন।
এ বছরের শুরু থেকে ২২ মে পর্যন্ত অবৈধভাবে ইতালিতে গেছেন ৫ হাজার ৬৫০ বাংলাদেশি। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫৭৮ জন।
আইওএমের ঢাকা দফতরের কর্মকর্তারা জানান, চার বছর ধরে প্রায় একই হারে বাংলাদেশের লোকজন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পাড়ি দেওয়া অব্যাহত আছে। মানব পাচারকারীদের একটি চক্র তাদের অনেককে শুরুতে ঢাকা থেকে কয়েক মাসের ভ্রমণ ভিসায় লিবিয়ায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে সাগরপথে নিয়ে যায় ইতালিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।