বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান FT-7 BGI বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুরস্ক সফর বাতিল করে দেশে ফিরেছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি পূর্বনির্ধারিত সরকারি সফরে গত ২১ জুলাই তুরস্কে পৌঁছান। কিন্তু বিমানবন্দরে অবতরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বিধ্বস্তের খবর পান এবং সেখান থেকেই সফর বাতিল করে দেশে ফিরে আসেন।
২২ জুলাই ঢাকায় ফিরেই তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি দুর্ঘটনায় আহতদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি বলেন, সরকার আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
বিমান বাহিনী প্রধান জানান, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সহায়তা নিশ্চিত করতে বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।
তিনি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তাঁর ভাষায়, “এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমরা যে মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি, তা কখনো পূরণ হবার নয়। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।”
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোঃ তৌকির ইসলামের ফিউনারেল প্যারেড শেষে কুর্মিটোলায় বিমান বাহিনীর এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে দেওয়া ব্রিফিংয়ে তিনি দেশবাসীকে সব ধরণের অপতথ্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “জাতীয় দুর্যোগের এই মুহূর্তে মিডিয়া ও সচেতন সমাজকে গুজব না ছড়িয়ে, সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে।”
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত পর্ষদ গঠন করা হয়েছে এবং এই তদন্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও গুরুত্বের সঙ্গে পরিচালিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।