অবশেষে তৃতীয়বারের চেষ্টায় সফল হলো মঙ্গলে যাওয়ার উৎপেক্ষণ নভোযান স্টারশিপ। প্রথম দুইবারের চেষ্টায় এটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। নাসার মঙ্গল অভিযানের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই নভোজানকে। জ্বালানির চাপ সংক্রান্ত জটিলতায় সোমবার উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে বৃহস্পতিবার ১২০ মিটার দীর্ঘ এ স্টারশিপকে পুনরায় পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। এ উৎক্ষেপণ যেন সফল হয় তার জন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত এবং আর্থিক সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে স্পেস এক্স।
এর আগের দুই প্রচেষ্টা একেবারে সফল হয়নি। তখন সকল শর্ত পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালের ২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপণ করার চেষ্টা করেও তা ব্যর্থ হয়। তবে তখন লঞ্চপ্যাড কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। লঞ্চপ্যাড থেকে ২৬৮০ ফুট দূরে অবস্থিত ৩৮৫ একরের একটি মাঠে রকেটের ধ্বংসাবশেষ আচড়ে পড়ে।
এতে করে পুরো মাঠেই আগুন ধরে যায়। গত ১৮ নভেম্বর স্টারশিপের দ্বিতীয় উৎক্ষেপণের পরীক্ষা করা হয়। পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়ে পরের সাগরে অবতরণ করানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। উৎক্ষেপণের 8 মিনিট পরে সংযোগ হারিয়ে ফেলে রকেটটি।
দ্বিতীয় উৎক্ষেপনের সময় রকেটের প্রোপোলেন্ট যেন ছিদ্র হয়ে না হয়ে যায় সে ঝুঁকি এড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এজন্য স্পেসএক্স কে ৬৩টি শর্ত পূরণের তালিকা পাঠানো হয়। তৃতীয় উৎক্ষেপণের সময় রকেটের অবতরণের জায়গা ঠিক করা হয় ভারত মহাসাগর।
প্রথম দুইটি উৎক্ষেপণের সময় হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সেই সময় কেন আকাশে উৎক্ষেপণের সময় বিস্ফোরিত হয়েছিল তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়েছিল স্পেসএক্সকে। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হওয়ায় ইলন মাস্কের জন্য এটি বেশ বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।