
জুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পুলিশ ও র্যা বের সঙ্গে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।
রবিয়ার তেঁতুলিয়া-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের ভজনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকের নাম জুমার উদ্দিন (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার পাথর শ্রমিকরা অবৈধভাবে ভ‚গর্ভস্থ পাথর উত্তোলনের দাবিতে রবিবার সকালে মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করতে গেলে পাথর শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপসহ পুলিশের চারটি গাড়ি ভাংচুর করেন শ্রমিকরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। র্যা ব সদস্যরাও পুলিশের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। সংঘর্ষে পুলিশ ও র্যা বের ১১ সদস্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে পাথর শ্রমিক জুমার উদ্দিন মারা যান।
অন্য আহতদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন পাথর শ্রমিককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চার ঘণ্টা অবরোধের পর বিকাল ৩টার দিকে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সিরাজ উদ্দৌলা পলিন বলেন, আহত অবস্থায় পুলিশসহ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। তিনি কীভাবে মারা গেছেন সেটা তাৎক্ষণিকভাবে বলা মুশকিল। অন্যদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, শ্রমিকরা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অন্যায় দাবিতে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে। তারা আমাদের গাড়িও ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।