লাইফস্টাইল ডেস্ক: তেঁতুল পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। মুখরোচক খাবারের স্বাদ বাড়াতে এর তুলনা হয় না। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। এর পাতা, ছাল, ফলের কাঁচা ও পাকা শাঁস, পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল থাকা জরুরি।
তেঁতুলের মধ্যে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করে শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে।
তেঁতুলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান পরোক্ষ উপায়ে রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি শরীরে শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। ফলে ডায়াবেটিসকে অনেকটাই প্রতিরোধ করে তেঁতুল।
তেঁতুল গাছের পাতা এবং ছাল অ্যানিটসেপটিক এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। ফলে ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
বদহজমের সমস্যা দেখা দিলে এক কাপ পানিতে তেঁতুল ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খেলে এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এতে থাকা ডায়াটারি ফাইবার হজমে সাহায্য করে।
তেঁতুলে হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এ অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমানোয় সাহায্য করে।
খাদ্যতালিকায় তেঁতুলের শরবত রাখা যেতে পারে। গরমের দিনে পিপাসা মিটবে আর সুস্বাস্থ্যও পাওয়া যাবে।
ঠান্ডা-সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম পানিতে তেঁতুল আর গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা শারীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধেও তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকর।
পেট ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চাইলে তেঁতুলের সাহায্য নিন। এর মধ্যে টার্টারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
তবে মাত্রাতিরিক্ত তেঁতুল খেলে রক্তের সিরাম গ্লুকোজের মাত্রা কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, প্রতিদিন ১০ গ্রামের বেশি তেঁতুল নয়। ডায়াবেটিস রোগীদেরও এ ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
যেভাবে বানাবেন তেঁতুলের শরবত
পরিমাণ মতো তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হয়ে গেলে ছালগুলো বের করে নিন। এবার একটি গ্লাসে দুই চামচ তেঁতুলের ছাল, ভাজা জিরে শুকনো মরিচের গুঁড়ো, বিটলবণ, গোল মরিচের গুঁড়ো আর এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে নিন, সাথে বরফ আর পুদিনা পাতা দিয়েও পরিবেশন করা যেতে পারে তেঁতুলের শরবত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।