বিনোদন ডেস্ক: শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি সেভেন,অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার পরও তেলের উৎপাদন বাড়াবে না অর্গানাইজেশনন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিস ও মিত্র রাশিয়া (ওপেক প্লাস)। রোববার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
অপরিশোধিত তেল বিক্রি থেকে রাশিয়ার আয় হ্রাস করার লক্ষ্যে শনিবার দেশটির তেলের দাম বেঁধে দেয় পশ্চিমা দেশগুলোর জোট। জোটের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৬০ ডলার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি দামে রাশিয়ার কাছ থেকে কেউ তেল কিনতে পারবে না কিংবা রাশিয়া তেল বিক্রি করতে পারবে না।
ওপেক সূত্র জানিয়েছে, তেলের উৎপাদনের ব্যাপারে অক্টোবরে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তা বহাল থাকবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তেলের উৎপাদন বাড়াবে না জোট। আগামী বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারিতে জোটের শীর্ষ মন্ত্রীরা বৈঠক করে একটি পর্যবেক্ষক কমিটি করবে এবং ৩ থেকে ৪ জুন পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হবে।
অক্টোবরে ওপেক দৈনিক তেলের উৎপাদন ২০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দেয়, যা বৈশ্বিক চাহিদার ২ শতাংশ। এ ঘটনায় জোটের নেতা সৌদি আরবের ওপর ক্ষিপ্ত হয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের দাবি, রাশিয়াকে সমর্থন দিতেই রিয়াদ এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সৌদি আরব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনসহ বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং সুদের হার বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে তেলের দামও কমে গেছে। এ কারণেই তারা তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।