রমজান মাসে সাধারনত সয়াবিন তেলের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। এবার রোযায় যত চাহিদা তার থেকে 89 হাজার টন বেশি সয়াবিন তেল বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছায় আমদানি করা হয়েছে। এরপরও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রাখার কারণে বাজারে ভোজ্যতেল মিলছে না।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলিম আখতার বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তিনি বিশ্বাস করেন যে, খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা অর্জন করার জন্য কারসাজি করছে। গতকাল তিনি এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। সেখানে বাজার নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার সময় এসব কথা তুলে ধরেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই বাজারে সয়াবিন তেলের ভয়াবহ সংকট চলছে। গত নভেম্বরে প্রতি লিটার ৮ টাকা করে দাম বাড়ানো হলেও কৃত্রিম সংকট পুরোপুরি কাটেনি।
রোজার আগে আবারও বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট। রাজধানীর বাজারে মিলছে না পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘দোকানে গেলে বলে তেল নাই। বলতেসে যে তেল নিলে সাথে চাল নিতে হবে বা ওই কোম্পানির অন্য যে প্রোডাক্ট আছে সেটা নিতে হবে। সমস্যা কি জানতে চাইলে বলে যে দৈনিক যদি ডিমান্ড থাকে ৫০ বোতল, সে পাচ্ছে ১০ বোতল। তেলের দামটা আমাদেরকে ভোগান্তিতে ফেলছে।’
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোম্পানি থেকে ভোজ্যতেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। সরবরাহ ব্যবস্থা তদারকির দাবিও তাদের। একজন বিক্রেতা বলেন, ‘তীর প্রতি সপ্তাহে ১ কার্টুন দেয়, রুপচাঁদা ১ কার্টুন দেয়। ফ্রেশ আর পুষ্টি একদিন পরপর ১ কার্টুন করে তেল দেয়। আর প্রতিদিনই তেল লাগে ৮ থেকে ১০ কার্টুন। পাম ওয়েল যে দিব সেটাও নাই। আমাদের কোনো কারসাজি নাই, যা করে করছে কোম্পানি।’
রমজানে ৩ লাখ টন চাহিদার চেয়ে বাড়তি ৮৯ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানির তথ্য জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তার দাবি, অসাধু ব্যবসায়ীরাই কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।
মোহাম্মদ আলীম আখতার বলেন, ‘প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতা সামনে সামান্য কিছু তেল রেখেছেন, পরবর্তীতে দেখা গেল পেছনে তেলের মজুদটা তারা রেখে দিয়েছেন। এটা তো আপনাদের বা আমাদের কারও কাম্য নয়। সেক্ষেত্রে আমি আবারও অভিযানের জন্য পাঠিয়েছি।’ রোজার পণ্য খেজুর, ছোলা, ফল ও মসলা জাতীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।