নওগাঁ প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলার কর্মসূচিতে কর্মহীন হয়ে পড়া নাগরিকরা যাতে না খেয়ে থাকে সেজন্য তাদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। আর এই ত্রাণসামগ্রী যাতে ভুল লোকের কাছে না যায় সেজন্য ব্যতিক্রম এক উদ্যোগ নিয়েছে জেলার সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী। তিনি সাপাহারবাসীর কাছে এক খোলা চিঠিতে যারা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য তাদের নাম চেয়েছেন। নিচে তার চিঠিটি হুবহু দেয়া হলো-
‘প্রিয় সাপাহারবাসী,
আপনারা অবগত আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক করোনার কারনে অসহায়, হতদরিদ্র ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের ঘরে ঘরে উপজেলা প্রশাসন,সাপাহার খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে।
আপনার জানা মতে নিম্নোক্ত ক্যাটাগরির এমন কোন ব্যক্তি যদি থেকে থাকে যার ঘরে খাবার নেই, এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি সাহায্য পৌঁছায়নি তাদের পূর্ণাঙ্গ (নাম, ঠিকানা, পেশা,ফোন নম্বর,ওয়ার্ড নম্বর, ইউনিয়ন) সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করে আমাকে কমেন্টস করে জানাবেন। আমরা তার ঘরে খাবার পৌঁছে দিব।
যাদের নাম প্রস্তাব করবেনঃ
# ভিক্ষুক
# দিন মজুর
# গরীব চা বিক্রেতা
# নির্মাণ শ্রমিক
# রেস্টুরেন্ট শ্রমিক
# তাত শ্রমিক
# ফার্ণিচার/কাঠ শ্রমিক
# গরীব ভ্যান /রিক্সা চালক / ইজি বাইক চালক
# কুলী
# মুচী
# গরীব দর্জি
# বাদাম বিক্রেতা
# ঝালমুড়ি বিক্রেতা
# পরিবহন শ্রমিক
# পাগল / ভবঘুরে
# দিন আনে দিন খায়
যাদের নাম প্রস্তাব করবেন নাঃ
# যারা 10 টাকা মূল্যের সরকারি চাল পায়
# যারা সরকারি সহায়তা ভিজিডি/ভিজিএফ পায়
# যারা সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগে ইতোমধ্যে প্রদত্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছেন
# সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতা প্রাপ্ত এবং ঘরে বর্তমানে চলার মতো খাদ্য আছে
# যারা স্বচ্ছল পরিবার
বি.দ্রঃ
* ত্রাণ ঘরে মজুদ করার জন্য নয়। এটি অসহায় হতদরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার জন্য। আসুন আমরা সবাই মিলে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াই।
* ত্রাণ নিয়ে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে নিম্নস্বাক্ষরকারীকে অবহিত করুন।
অনুরোধক্রমেঃ
কল্যাণ চৌধুরী
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সাপাহার , নওগাঁ’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।